গতকালই ঘণমাধ্যমে প্রকাশিত হয় ছোটপর্দার জনপ্রিয় অভিনেতা জিয়াউল ফারুকের তৃতীয় বিয়ের খবর। এর একদিন পরেই সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়ে এই অভিনেতার প্রাক্তন স্ত্রী নাজিয়া হাসান অদিতির দ্বিতীয় বিয়ের খবর। মূলত অপূর্বর বিয়ের খবর প্রকাশের দিনে ফেসবুকে একটি স্ট্যাটাস দেন তার প্রাক্তন স্ত্রী নাজিয়া হাসান অদিতি। সেই স্ট্যাটাসে তিনি লিখেন, ‘চার বছরের প্রেম সফল হলো, মাশাআল্লাহ্! নব বিবাহিতদের জন্য শুভ কামনা।’
যদিও স্ট্যাটাসে সেখানে কোনো নাম উল্লেখ করেননি অদিতি; তবুও সবাই ধরে নিয়েছেন তিনি অপূর্বকেই নতুন জীবনের জন্য শুভেচ্ছা জানিয়েছেন। সেই শুভেচ্ছাবার্তার ভাব এরকম- হবু স্ত্রী শাম্মার সঙ্গে চার বছর ধরে প্রেম করছেন অপূর্ব। নাজিয়ার স্ট্যাটাসে স্পষ্ট, সংসার ভাঙার জন্য এই কারণকেই দায়ী করছেন তিনি। অপূর্ব যেহেতু চার বছর ধরে প্রেম করেছেন সেহেতু তিনি অদিতির সঙ্গে সংসার করার সময় থেকেই পরকীয়ায় যুক্ত ছিলেন বলে স্ট্যাটাসে ইঙ্গিতে বুঝিয়েছেন তিনি।
নাজিয়ার সেই স্ট্যাটাসের পরেই সামাজিক মাধ্যমে একপক্ষ দাবি করেন, অদিতিও হয়তো পরকীয়ায় লিপ্ত ছিলেন। কারণ ডিভোর্সের পর তিনি বিয়ে করেছেন চলতি বছরের জানুয়ারি মাসেই। আবার অনেকে দাবি করছেন, অদিতির বর্তমান স্বামী অপূর্বর বন্ধু ছিল। তাদের উদ্দেশ্য একটি সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে অপূর্বর প্রাক্তন স্ত্রী বলেছেন, বিচ্ছেদের দেড় বছর পর একেবারে ঘরোয়া আয়োজনে দুই পরিবারের উপস্থিতিতে বিয়ে করেছি।
২০১৯ সালের আগস্ট মাসে অপূর্বের সাথে আমার ডির্ভোস হয়। তবে আমি বিয়ে করেছি চলতি বছরের জানুয়ারিতে। গুনে গুনে দেড় বছর পর সম্পূর্ণ পারিবারিকভাবে বিয়ে করি। কাছের মানুষ জন সবাই দ্বিতীয় বিয়ের ব্যাপারে অবগত। আমি চাইনি দ্বিতীয় বিয়ে নিয়ে নাচানাচি হোক। সেই মন মানসিকতাও ছিল না। মানুষকে জানানো আমার জন্য লজ্জাজনক ছিল।
অদিতি বলেন, আসলে বিয়েটা আমি আনন্দের সাথে করিনি। বিয়ে একটা করতে হবে তাই করেছি। বাবা-মায়ের প্রেসারের কারণে বিয়েটি করতে হয়েছে। বিয়ের সময় অপূর্বকেও জানিয়েছি। সবার জানা দরকার আমি অপূর্বের কোনো বন্ধুকে বিয়ে করিনি। আমার কোনো পরকীয়া ছিল না। তিনি আরো বলেন, গতকাল অপূর্বকে নিয়ে স্ট্যাটাস দেওয়াতে অপূর্বর ভক্তরা বিয়ের ছবিটি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে দেয়।
আমি জানি না অপূর্ব সরাসরি করছে কি না। তার ভক্তরা সাথে সাথে বিরূপ মন্তব্য করা শুরু করে। আমাকে সেইম কাতারে ফেলার চেষ্টা করছে। এটার জন্য আমি প্রস্তুত ছিলাম না। তবে এতে খুব একটা অবাক হইনি।
তিনি বলেন, বিয়ের ব্যাপারে অপূর্ব খুব ভালোভাবে অবগত। আমি ফেসবুকে পোস্ট করে জানাতে চাইনি। আমার শ্বশুর বাড়ির লোকজনও চায়নি। এখন সাধারণভাবে থাকতে চাই। অপূর্বর সাথে থাকাকালীন হাসি খুশি ছবি দিয়েছি ঠিকই কিন্তু আমি সুখী ছিলাম না। এবার আমি ঠিক করেছি ব্যক্তিগত জীবন একেবারে ব্যক্তিগত রাখতে চাই।
উল্লেখ্য, ২০১১ সালের ১৪ জুলাই পারিবারিকভাবে অদিতিকে বিয়ে করেছিলেন অপূর্ব। তাদের ঘরে আয়াশ নামে এক পুত্রসন্তান রয়েছে। ব্যক্তিগত কারণ দেখিয়ে দীর্ঘ ৯ বছরের সংসার জীবনের ইতি টানেন তারা। ২০২০ সালের ১৭ মার্চ করোনা মহামারির মধ্যে ফেসবুকে লিখে বিচ্ছেদের কথা জানান নাজিয়া হাসান অদিতি।