বুধবার (১৫ সেপ্টম্বর) ঢাকা মহানগর হাকিম সত্যব্রত শিকদারের আদালতে মাদক মামলায় হাজিরা দেন চিত্রনায়িকা পরীমনি। এসময় কয়েকজন পুলিশ সদস্য পরীমণিকে আদালত কক্ষের দিকে নিয়ে রওনা হন। সিঁড়ি দিয়ে ওঠার সময় তার পাশে থাকা একজন নারী পুলিশ সদস্য আসামিদের যেভাবে ধরে নিয়ে যাওয়া হয় সেভাবে পরীমণির হাত ধরার চেষ্টা করলে মুহূর্তে হাত সরিয়ে নিয়ে বলেন, ‘এই হাত ধরবেন না’। তারপর তিনি হাত ছাড়িয়ে নিয়ে আদালতের বারান্দায় প্রবেশ করেন। সেই দৃশ্য ধারণ হয়েছে সাংবাদিকদের ক্যামেরায়।
এর আগে রিমান্ডে ও কারাগারে থাকার সময় পরীমণিকে আদালতে আনা হলে প্রায় অর্ধশতাধিক পুলিশ তাকে ঘিরে আদালত কক্ষে নিয়ে যেতেন। সে সময় একবার ভিড়ের ধাক্কায় পরীমণি রাস্তায় পড়েও যান। এদিকে পরী তার হ্যারিয়েন গাড়ি ও আইফোন না থাকায় সমস্যার মধ্যে রয়েছেন। গাড়ি জব্দ থাকায় চলাচলের সমস্যায় পড়েছেন তিনি। এছাড়া মোবাইল না থাকায় কারো সাথে যোগাযোগ করতে পারছেন না বলেও বিচারককে জানান এই নায়িকা।
পরীমনি বলেন, ‘গাড়িটি আমার। গাড়ির সকল কাগজপত্র আমার কাছে আছে। গাড়িটি না থাকায় আমি চলাচলে খুব সমস্যা বোধ করছি। মোবাইলের কারণে আমি কারো সাথে যোগাযোগ করতে পারছিনা। জব্দ হওয়া প্রসাধনীর বক্সটি আমার খুব প্রয়োজন। এছাড়াও চাবির বক্স রয়েছে। এগুলো আমার খুব প্রয়োজন। আমি অনুরোধ করছি এগুলো ফিরিয়ে দেয়ার জন্য।’
এরপর বিচারক এগুলো মালিকানা যাচাই করে তদন্ত কর্মকর্তাকে প্রতিবেদন দাখিলের জন্য নির্দেশ দেন। অপরদিকে এদিন মামলার তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের জন্য দিন ধার্য ছিল। তদন্ত কর্মকর্তা প্রতিবেদন দাখিল না করায় বিচারক প্রতিবেদন দাখিলের জন্য ১০ অক্টোবর দিন ধার্য করেন। এর আগে ৩১ আগস্ট ঢাকা মহানগর দায়রা জজ কে এম ইমরুল কায়েশ শুনানি শেষে পরীমনির জামিন মঞ্জুর করেন। পরদিন গাজীপুরের কাশিমপুর কেন্দ্রীয় মহিলা কারাগার থেকে কারামুক্তি হন পরীমনি।