বিবাহিত ঈ’মানদার নারীরা বিশেষ ২টি গু’ণের কারণে লাভ করবে চিরস্থায়ী জান্নাত। তাদের জন্য জান্নাতের মধ্যে নির্মাণ করা হবে আলাদা ঘর। যেখান থেকে তারা আল্লাহর দিদার লাভ করবে। নারীদের সে গু’ণ দুটি হলো-
” স্বামীর দোষা প্রচার না করা তার প্রশংসা ও সহযোগিতা করা। অর্থাৎ অন্য মানুষের কাছে স্বামী দোষ বা কুৎসা বলে বেড়ানো থেকে বিরত থাকা।
” স্বামীকে অ’ভিশাপ না দিয়ে তাদের জন্য কল্যাণে দোয়া করা। অর্থাৎ স্বামীর জন্য বদদোয়া বা তাদের কথা ও কাজের অকল্যাণ কামনা না করা।
আর স্ত্রী’রা কারণে-অকারণে স্বামীদের সঙ্গে এ দুটি কাজই বেশি করে থাকে। সামান্য কারণেই স্বামীকে দোষারোপ করে কিংবা কথায় কথায় অ’ভিশাপ দিয়ে থাকে। যা কোনোভাবেই কাম্য নয়।
কেননা এ দুইটি কারণই একজন ঈ’মানদার নারীকে নিশ্চিত জাহান্নামের দিকে ঠেলে দেয়। আল্লাহ তাআলা কুরআনে পাকে পয়গাম্বর নূহ ও লূত আলাইহিস সালামের স্ত্রী’দের কথা উল্লেখ করে বলেন-
‘আল্লাহ অবিশ্বা’সীদের জন্য নূহ ও লূতের স্ত্রী’দের দৃ’ষ্টান্ত তুলে ধরেছেন; তারা আমা’র দুই নেককার বান্দার স্ত্রী’ ছিল। কিন্তু তারা তাদের স্বামী সঙ্গে খেয়ানত করেছিল। তারা (নূহ ও লূত আলাইহিস সালাম) আল্লাহর মোকাবেলায় তাদের (স্ত্রী’দের) কোনো কাজেই আসতে পারেনি। দুই জনকে বলে দেয়া হয়েছে যাও, জাহান্নামে প্রবেশকারীদের সঙ্গে তোম’র’াও প্রবেশ কর।’ (সুরা তাহরিম : আয়াত ১০)