অনেকেরই ভ্রমণের একটি তালিকা করে থাকে। কোন কোন জায়গা দেখতে চান, ঠিক করা থাকে। তা কিছু হয়, আবার কিছু হয় না। বিভিন্ন কারণে আটকে যায়। আর কেউ কেউ থাকে, যে কোনো উপায়ে নিজের লক্ষ্যে পৌঁছানোর চিন্তায়। তেমনই এক জন তরুণী হলেন লেক্সি অ্যালফর্ড।
তিনি আমেরিকার নাগরিক। মাত্র ২১ বছরেই সারাবিশ্ব ভ্রমণ করেছেন। ১৯৬টি দেশে পা রেখেছেন তিনি। সবচেয়ে কম বয়সে বিশ্বের সবগুলো দেশ ঘুরে বেড়িয়েছেন এই সাহসী তরুণী। এজন্য গিনেস বুক রেকর্ডে নামও উঠেছে তার। মাত্র ২১ বছর বয়সেই উত্তর কোরিয়া পর্যন্তও ঘুরে এসেছেন তিনি।
আমেরিকার নাগরিক লেক্সির বয়স এখন ২৩ বছর। ছোটবেলা থেকেই ঘুরতে ভালোবাসতেন লেক্সি। এক সাক্ষাৎকারে তিনি জানান, মানুষের কথা না শুনে আমি আবেগকে অনুসরণ করেছি। যদিও আবেগ নিয়ে বাঁচা যায় না, তবে আমি সফল। নিজের লক্ষ্যে পৌঁছাতে পেরেছি।
তিনি যুক্তরাষ্ট্রের একটি কমিউনিটি কলেজ থেকে পড়াশোনা শেষ করেন। ২০১৬ সালে ঠিক করেন, পৃথিবীর সব কয়টি দেশ ঘুরে দেখতে হবে। তখন তার বয়স মাত্র ১৮। তত দিনে ৭২টি দেশ ভ্রমণ করে ফেলেছেন তিনি। এর পরবর্তী তিন বছরের মধ্যে বাকি সব দেশে ঘুরেন তিনি। এরপর স্বপ্ন দেখেন দেশের সর্বকনিষ্ঠ নারী হিসেবে ১৯৬ দেশ ভ্রমণে বিশ্বরেকর্ড গড়বেন। ঠিক তাই করেছেন তিনি। তার ভ্রমণের বেশিরভাগই স্ব-অর্থায়নে ছিল। কারণ অল্প বয়স থেকেই লেক্সি তার স্বপ্নপূরণের জন্য কাজ ও সঞ্চয় শুরু করেছিলেন।
লেক্সির বাবা-মায়ের ক্যালিফর্নিয়ায় একটি ট্র্যাভেল অ্যাজেন্সি আছেন। সেই সূত্র ধরেই নতুন দেশ ঘুরে বেড়ানো শুরু করেন তিনি। এখন লেক্সির ইনস্টাগ্রামে ঢুঁ মারলেই দেখা যায় নানা দেশে ভ্রমণের ছবি। ১৯৬টি দেশ দেখেছেন তিনি।
লেক্সি জানান, ‘বাবা-মায়ের কাজের প্রয়োজনে ছোটবেলা থেকেই তাদের সঙ্গে দেশের বাইরে থেকেছি। লেখাপড়া করেছি বিভিন্ন দেশে ঘুরতে ঘুরতেই। ওই বয়সেই কম্বোডিয়ার ফ্লোটিং ভিলেজ থেকে মিশরের পিরামিড, সবই দেখেছি। এরপর থেকে একা ভ্রমণ শুরু করি।’
সারাবিশ্ব ঘুরে বেড়ানোর খরচ কীভাবে জোগালেন লেক্সি? এ বিষয়ে তিনি জানান, নিজের রোজগারেই সবকিছু করেছি। যখন যেমন কাজ পেয়েছি, সেটিই করেছি। ওই অর্থ দিয়ে পরের দেশটি ভ্রমণের পরিকল্পনা করেছি। যতটা সম্ভব কম খরচে বিভিন্ন দেশ ভ্রমণ করেছি। যতটুকু অর্থ লেগেছে ততটুকুই খরচ করেছি। এভাবেই সম্ভব হয়েছে।