এক লোক খুব সুন্দরী মেয়েকে বিয়ে করেছিল, সে তার বউকে প্রচন্ড ভালবাসতো হঠাৎ একদিন

এক লোক খুব সু’ন্দরী এক মেয়েকে বিয়ে ক’রেছিল। বিয়ের পর ঐ ব্য’ক্তি তার বউকে প্রচন্ড ভালবাসতো। তাদের সংসার খুব সুখের ছিল। দু’জন দু’জনকে প্রচ’ন্ড ভালবাসতো।

কিন্তু হ’ঠাৎ এলাকায় এক ধ’রনের “চা’মড়ার রো’গ” মহামা’রী আঁ’কার ধারণ করলো। হ’ঠাৎ একদিন সু’ন্দরী মেয়েটার শ’রীরে ঐ রো’গের ল’ক্ষণ দেখা দিল। মেয়েটা বুঝতে পারলো এই রো’গ তার পুরো শ’রীরের চা’মড়ায় ছ’ড়িয়ে পড়’বে এবং সে তার সৌ’ন্দর্য হা’রাবে।

যেদিন মেয়েটার শ’রীরে এই ল’ক্ষণ দেখা দি’য়েছিল। সেই দিন মেয়েটার স্বামী অফিস থাকে বাড়ি ফেরার পথে এক্সিডে’ন্ট করলো। এই এক্সিডে’ন্টের পর লোকটা তার দু’চোখের দৃ’ষ্টিশ’ক্তি হা’রায়।

দৃ’ষ্টিশ’ক্তি না থাকা স’ত্যেও লোকটার সাথে মেয়েটার সংসার সুন্দর ভাবে চ’লতে থাকে।এদিকে রো’গের কারণে দিনের পর দিন মেয়েটার চে’হারা কু’ৎসিত হতে থাকে। কিন্তু অ’ন্ধ স্বামী বুঝ’তে পারে না, তার স্ত্রী দে’খতে কতটা বি’শ্রী হয়েছে।

এভাবে চল্লিশ বছর তাদের সংসার সুখে শা’ন্তিতে চলতে থাকে। তাদের চল্লিশ বছরের সংসারে ভালবাসা, সুখ, প’রস্পরের নি’র্ভরশীলতা একই রকম রকম ছিল, যেন তারা স’দ্য বিবাহিত দ’ম্পতি।

এভাবে চলতে চলতে, একদিন বৃদ্বা মহিলা মা’রা গেল। স্ত্রীর মৃ ত্যুতে অ’ন্ধ লোকটা খুবই দুঃ’খ পেল, ভে’ঙ্গে প’ড়লো। কিন্তু দুনিয়াবী জীবনে কোন কিছুই চি’রস্থায়ী না। সবাইকেই একদিন না একদিন ইহকা’লের জীবন ছেড়ে আ’খিরাতের জীবনে চলে যেতে হবে।

অন্ধ লোকটা যখন তার প্রিয়তমা স্ত্রী’কে ক’বরে শা’য়িত করে ফি’রে আ’সছিল।তখন পিছন থেকে একজন ব্য’ক্তি অন্ধ লোকটাকে প্রশ্ন করলো, “কোথায় যাচ্ছ?” অন্ধ লোকটি উত্তর দিল, “সে বাড়ি ফি’রে যাচ্ছে যে বাড়িতে তার স্ত্রী এতো বছর তারসাথে সংসার ক’রেছে।” এই কথা শুনে, প্র’শ্নকারী লোকটি অন্ধ লোকটিকে বললো, “তুমি কিভাবে একা একা বাড়ি ফি’রবে!

তুমি তো অন্ধ!” অন্ধ লোকটি উত্তর দিল, “সে একাই বাড়ি ফি’রতে পারবে কারণ আদ’তে সে অন্ধ নয়। সে সব কিছুই দে’খতে পায়।” এতো বছর সে তার স্ত্রীর সামনে অ’ন্ধের অভিনয় করেছিল।

কারণ সে যখন জা’নতে পেরেছিল তার স্ত্রী স্কিন ডি’জিজে আ’ক্রান্ত হয়েছে, তখন সে এটা ভেবে ভ’য় পে’য়েছিল যে, তার স্ত্রী হয়তো হী’নম্মন্যতায় ভু’গবে।হয়তো মনে মনে ভাববে তার স্বামী তাকে আগের মতো ভালবাসে না।

নিজে’র অব’স্থার জন্য কষ্ট পাবে। তার স্ত্রী যেন নিজেকে কখনো ছোট অযো’গ্য না ভাবে তাই সে চল্লিশ বছর একই ভাবে স্ত্রীকে ভা’লবেসেছে অ’ন্ধের অভিনয় করে। সৌ’ন্দর্য, সম্পদ আল্লাহ চাইলে এসব কিছু আমাদের কাছ থেকে নিয়ে নিতে পারেন।

আজ যে ধনী কাল সে গ’রবী হতে পারে! আজ যার রূপে আ’গুন জ্ব’লে কাল তার রূপ হা’রিয়ে যেতে পারে। কারণ পার্থিব এইসব কিছুই দু’নিয়াবী পরীক্ষার উপকরণ।

সু’ন্দরী, ধনী কাওকে বিয়ে করার পর হয়তো স্ত্রীর সৌ’ন্দর্য হা’রিয়ে যেতে পারে কিং’বা ধনী স্বামী গ’রীব হয়ে যেতে পারে। তখন অ’ধিকাংশই বিবাহ বি’চ্ছেদের কথা ভাবে।

কিন্তু আম’রা যদি আমাদের জী’বনসঙ্গীর ছোটখাটো খুঁত, ভুল গু’লোকে বড় করে না দেখে সেগুলো একটু মা’নিয়ে চলি তাহলে আমাদের দা’ম্পত্য জীবন অনেক সুখের হয়… আরবের একটি প্র’চলিত গল্প অবল’ম্বনে,

About reviewbd

Check Also

লতা-পাতা নয়, চা-সিগারেট খাচ্ছে ছাগল, ভাইরাল ভিডিও

প্রায় ৩০০ প্রজাতিরও বেশি ছাগল রয়েছে। এটা গৃহপালিত প্রাচীনতম প্রজাতির প্রাণীদের মধ্যে একটি, প্রত্নতাত্ত্বিক প্রমাণ …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *