মডেল ও অভিনেত্রী সুবাহ শাহ হুমায়রার ২০১৮ সালে একটি ভিডিও তুমুল আলোচনার জন্ম দিয়েছিল। যে ভিডিওতে তিনি জাতীয় দলের এক সময়কার নিয়মিত ক্রিকেটার নাসির হোসেনের সঙ্গে নিজের সম্পর্কের ব্যাপারটি ফাঁস করেছিলেন। নাসির-সুবাহ’র সেই আলোচিত প্রেমের ইতি ঘটেছে বেশ আগেই। এদিকে চলতি বছরের বিশ্ব ভালোবাসা দিবসে (১৪ ফেব্রুয়ারি) তামিমা তাম্মিকে বিয়ে করেছেন নাসির। অন্যদিকে এই ক্রিকেটারের স্মৃতি ভুলে নতুন প্রেমে মজেছেন সুবাহ। সোশ্যাল মিডিয়ায় বেশ সরব এই অভিনেত্রী। নিজের ব্যক্তিজীবনের বিভিন্ন মুহূর্তের ছবি, ভিডিও প্রকাশ করতেও দেখা যায় তাকে।
সোশ্যাল মিডিয়ায় বেশ সরব এই অভিনেত্রী। নিজের ব্যক্তিজীবনের বিভিন্ন মুহূর্তের ছবি, ভিডিও প্রকাশ করতেও দেখা যায় তাকে। আজ বৃহস্পতিবার (১৮ নভেম্বর) দুপুরে ফেসবুক স্ট্যাটাসে সুবাহ লিখেছেন, ‘একটা বাস্তব, লোভী নারী আর নারী লোভী পুরুষ কখনোই সুখী হয় না।’
সুবাহ শাহ হুমায়রার সেই স্ট্যাটাসে নেটিজেনরা নানা ধরণের মন্তব্য করেছেন। তৌফিক খান নামে একজন জানতে চেয়েছেন, ‘তুমি কোনটা?’ জবাবে সুবাহ লিখেছেন, ‘আমি কোনটা তা সবাই জানে। লোভী হলে সবাই দেখতেই পারতো। আমি যেমন ছিলাম তেমনই আছি।’ আহমেদ ইমতিয়াজ খালেদ সুবাহ’র প্রাক্তন প্রেমিক নাসিরের প্রসঙ্গ টেনে লিখেছেন, ‘যেমন নাসির আর নাসিরের বউ।’ সেখানে পাল্টা মন্তব্যে সুবাহ লিখেছেন, ‘পারফেক্ট’।
এর আগে শনিবার (১৩ নভেম্বর) নতুন একটি ভিডিও প্রকাশ করেছেন সুবাহ। সেখানে সুবাহ’র কন্ঠে শোনা যাচ্ছে, ‘এ জীবন তোমাকে দিলাম বন্ধু, তুমি শুধু ভালোবাসা দিও…সুখের চেয়েও সুখ তুমি যে আমার, প্রিয় থেকেও তুমি বেশি প্রিয়, তুমি শুধু ভালোবাসা দিও…’। ভিডিওর শেষে তাকে বলতে শোনা যায়, ‘দিও কিন্তু ভালোবাসা, ঠিক আছে!’ সুবাহ’র সেই পোস্টে অনেকেই তার গানের প্রশংসা করেছেন। আবার কেউ কেউ নাসিরের প্রসঙ্গ টেনে খোঁচা দিয়েছেন।
তানভীর সোহেল লিখেছেন, ‘নাসিরের কথা মাথা থেকে বাদ দাও,, এখন শুধু আমাকে নিয়ে স্বপ্ন দেখ।’ মোঃ সুজন আহমেদ লিখেছেন, ‘তোমার জন্য রইল অফুরন্ত ভালোবাসা।’ আল আমিন লিখেছেন, ‘বন্ধুর জীবন তামিমাকে দিয়ে দিয়েছে।’ আশিক আরজু লিখেছেন, ‘বন্ধুর নাম শুনতে চাই। খালি খালি আমরা মারামারি করতে পারবো না সুন্দরী।’
এর আগের পোস্টে (১০ নভেম্বর) তিনি লিখেছেন কামড়াকামড়ি করে একটা সম্পর্ক টিকিয়ে রাখার চেয়ে বিচ্ছেদ স্রেয়।
• সম্পর্কের শ্রদ্ধা-বিশ্বাস-অস্তিত্বের জায়গা নষ্ট হয়ে যাওয়ার পরও যারা সেটা মানতে পারে না, তাদের চেয়ে হিপোক্রিট আর কোনো মানুষ নাই…
• আর যারা বিচ্ছেদের পর ‘সে আমাকে ভালোবাসলো না কেনো’ এবং ‘সে ছেলে/মেয়ে প্রতারক ছিল, সে ভালো ছিল না’- এই দুই নৌকাতেই পা দিয়ে চলে তারা হলো সবচেয়ে বড় সুবিধাবাদী।
• যে কোনো একটা সিদ্ধান্ত নিন, ভালোবাসবেন/বাসতেন/বাসেন
নাকি গালাগাল করতেন/করেন/করবেন..? আপনি একদিকে ‘তাকে এখনো ভালোবাসেন’ টাইপ কথা বলে সিমপ্যাথি নিবেন আবার আরেকদিকে শখের বশে নিচের শ্রেণিতে নেমে দুনিয়া জুড়ে প্রাক্তনকে গালাগালি দিয়ে বেড়াবেন তা তো হয় না, তাই না? যে কোনো একটা করেন! হয় নিজের সম্মান রাখেন না হয় নিজের অ্যাটিটিউড! দুইটার যাঁতাকলে পড়ে ব্যক্তিমানুষ হিসেবে লেইম হয়ে যাবেন না।
• আবার, কোনো কারণে সম্পর্ক শেষ হয়ে গেলে, প্রাক্তনের বন্ধুবান্ধবকে গালাগালি করার দুঃসাহসটাও বা আপনারা পান কোথায়?
• যেখানে আপনি আপনার সেই ভালোবাসার মানুষ অর্থাৎ প্রাক্তনকেই বোঝেন নাই, সেখানে তার বর্তমান বন্ধুবান্ধবকে আপনি কতটুকু চেনেন বা জানেন! ঝামেলা হলো উপরের সবগুলো প্যারায় বর্ণিত ঘটনা গুলাকে আপনারা কালচার বানাচ্ছেন।কালচার আর বদ অভ্যাসের পার্থক্য নির্ণয় করতে শিখুন। নিজেদের যোগ্যতা এবং অযোগ্যতা বুঝতে শিখুন। প্রেম-বিচ্ছেদ সংক্রান্ত ফ্রাস্ট্রেশন আপনাদের এমনিই কমে যাবে! সুখী হোন, অন্যকে হতে দিন!