জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারপ্রাপ্ত নায়িকা সিমলা সর্বশেষ কাজ করেন ‘নিষিদ্ধ প্রেমের গল্প’ সিনেমায়। শুটিং হয়েছিল বছর সাতেক আগে। বৃহস্পতিবার (২৫ নভেম্বর) লাইভ রেডিও নামক ইউটিউব চ্যানেলে মুক্তি পেয়েছে আলোচিত সিনেমা ‘নিষিদ্ধ প্রেমের গল্প’। রুবেল আনুশ পরিচালিত সিনেমাটি সম্প্রতি সেন্সর বোর্ডে ‘প্রেমকাহন’ নামে জমা পড়েছিল। সেখানে বোর্ড সদস্যরা সর্বসাধারণের জন্য সিনেমা হলে প্রদর্শনের অনুপযুক্ত ঘোষণা করে। তবে পরিচালক সে আদেশের বিরুদ্ধে আপিল না করে ইউটিউবে মুক্তি দেন। অসম প্রেমের এই সিনেমাটি মুক্তির পর পরই সাড়া ফেলেছে। সিনেমাটি দেখতে হুমড়ি খেয়ে পড়েছে দর্শক।
পরিচালক আনুশ বলেন, আশা তো ছিল সিনেমাটি মানুষদের সিনেমা হলে দেখাবো। এখন যেহেতু সেন্সর বোর্ডের বিজ্ঞ সদস্যরা ছাড়পত্র দিতে অস্বীকৃতি জানিয়েছে, তাই ইউটিউবে মুক্তি দিলাম। সেখানে যেভাবে দর্শকদের সাড়া পাচ্ছি, তা আমরা কেউই আশা করি নাই। আমরা তাদের কাছে কৃতজ্ঞ। তিনি আরও বলেন, আমার কাছে মনে হয়েছে সেন্সর বোর্ডের আদেশের বিরুদ্ধে আপিল করে কোনো লাভ হবে না। আর আমরা ওটিটি প্ল্যাটফর্মে মুক্তি দিতে চেয়েছিলাম। কিন্তু কেউই সেন্সর ছাড়পত্র ছাড়া চালাতে রাজি নন। তাই এই পন্থায় মুক্তি দিলাম।
মেহেদী হাসান জোয়ার্দার লিখেছেন, ‘আমি যখন ক্লাস সেভেনে পড়তাম। মানে ২০১৪ সাল থেকে এই নিষিদ্ধ প্রেমের গল্প সিনেমাটি দেখতে উৎসুক ছিলাম। অবশেষে অপেক্ষার পালা শেষ হলো। ভালোবাসা ও অভিনন্দন টিমের জন্য।’
তীর্থক আহসান লিখেন, ‘গল্প খুবই ভাল। এক গল্প থেকে আরেক গল্পে সুইচ করাটা খুবই স্মার্ট ছিল। সেন্সরবোর্ড কেটে দেয়া বোল্ড দৃশ্যগুলো কেটে দেয়ার কোন কারণ খুজেঁ পেলাম না। বেশ কিছু জায়গায় ক্যামেরার কাজ ভাল ছিল। কিছু জায়গায় মনে হয়েছে নাটকের ফ্রেমিং। কিন্তু ক্লোজ ট্রিটমেন্ট মূলত না থাকাটা অস্বস্তিকর ছিল। পারফরমারদের ইমোশন, এক্সপ্রেশন কিছুই বোঝা যায়নি। শুভকামনা নবীন এই নির্মাতাকে। আশা করছি আগামীতে আরো ভাল কাজ হবে।’
এর আগে ২০১৪ সালে ‘নিষিদ্ধ প্রেমের গল্প’র শুটিং শুরু হয়েছিল। এর প্রধান চরিত্রে অভিনয় করেছেন আলোচিত চিত্রনায়িকা সিমলা। আরও অভিনয় করেছেন মামুন, মনিরা মিঠু, সোহেল খান, মোহাম্মদ সালমান, নোভাই নোভিয়া, মুনমুন আহমেদ মুন, আকাশ মেহেদি, একে আজাদ সেতু, শিমুল খান।ছবিটি প্রযোজনা করেছে আনুশ ফিল্মস। এর সহ-প্রযোজক রেড পিকচার্স।