কক্সবাজার সৈকতের সুগন্ধা পয়েন্টে যাত্রা শুরু করেছে ‘ফ্লাই ডাইনিং’ নামের একটি নতুন উড়ন্ত রেস্টুরেন্ট। মঙ্গলবার (৩০ নভেম্বের) সন্ধ্যায় সৈকত পাড়ের সুগন্ধা পয়েন্টে এ রেস্টুরেন্টটির আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন কক্সবাজার পৌরসভার মেয়র মুজিবুর রহমান। উড়ন্তাবস্থায় টেবিলে বসে এখানে নানান স্বাদের খাবার গ্রহণ করতে পারবেন যে কেউ।
জানা গেছে, এখানে জনপ্রতি খরচ পড়বে সর্বনিম্ন ৪ হাজার টাকা থেকে সাড়ে ৮ হাজার টাকা (খাবারসহ)। পাটাতনে ওঠা, আকাশে উড্ডয়ন এবং অবস্থান ও নেমে আসার সময়সহ প্যাকেজের পরিধি ৪৫ মিনিট থেকে এক ঘণ্টা। ২৪ জনের ধারণক্ষমতাসম্পন্ন ‘ফ্লাই ডাইনিং’ রেস্টুরেন্টটি মাটি থেকে সৈকতের আকাশে ১৬০ ফিট উপরে তুলে চতুর্দিক ঘুরতে ঘুরতে ক্রেতাদের খাবার পরিবেশন করবে। এ সময় আকাশ থেকে উপভোগ করা যাবে সৈকত ও আশপাশের দৃশ্যও। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় সৈকতপাড়ের সুগন্ধা পয়েন্টে এ রেস্টুরেন্টটির আনুষ্ঠানিক যাত্রা শুরু হয়।
সরেজমিনে দেখা যায়, সুগন্ধা পয়েন্টের হোটেল সি প্রিন্সেসের পাশের প্লটে দৃষ্টিনন্দনভাবে বসার পর্যাপ্ত স্থান রেখে চালু করা হয়েছে ‘ফ্লাই ডাইনিং’। এর পশ্চিম পাশের খালি স্থানে বসানো আসে একটি ক্রেন। একটি বিশেষ পাটাতনে ২০ জন ধারণক্ষমতার চেয়ার, টেবিল ও ওপরে ছাতার মতো ছাদ দিয়ে চারপাশ খোলা রাখা হয়েছে। অ্যালুমেনিয়াম ও স্টিলের সমন্বয়ে তৈরি বিশেষ তার ক্রেনের মাথায় লাগিয়ে সংযুক্ত করা হয়েছে সেই পাটাতনে। মাটিতে থাকা কিচেনে পছন্দ মতো খাবার অর্ডার করে ‘উড়ন্ত পাটাতনে’ পরিবেশন সুবিধা নেয়া যাবে।
ফ্লাই ডাইনিংয়ের পরিচালক ডিভিয়া পাটাক (ভারতীয় নাগরিক) জানান, কক্সবাজার দেশের প্রধান পর্যটন কেন্দ্র হলেও এখানে বিনোদনের তেমন কোনো মাধ্যম নেই। এখানে দেশ বিদেশের প্রচুর পর্যটক ভ্রমণে আসেন। তারা এই ফ্লাই ডাইনিংকে অনেক পছন্দ করবেন। সেই চিন্তা মাথায় রেখে সর্বপ্রথম কক্সবাজারে এই ফ্লাই ডাইনিং চালু করা হয়েছে। এটি অনেক অ্যাডভেঞ্চারাস ও আনন্দদায়ক হবে বলে জানান তিনি। এটি কক্সবাজারকে আরও পরিচিত করবে। প্রথম দিন ফ্লাই ডাইনিংয়ে রাইড করা কয়েকজন জানান, দেশের বাইরে এ ধরনের রাইডের কথা এতোদিন শুনে আসছিলাম কিন্তু এই প্রথম দেশে এমন একটি রোমাঞ্চকর অভিজ্ঞতা সত্যিই বিরল।
সম্পূর্ণ নিরাপত্তা নিশ্চিত করে অত্যাধুনিক মেশিনে ক্রেনের সাহায্যে সৈকতের ভূপৃষ্ঠ থেকে ১৬০ ফুট উঁচুতে এ রেস্টুরেন্টে থাকবে খাওয়া-দাওয়ার ব্যবস্থা। এতে মেঘের রাজ্যে বসে আপ্যায়িত হওয়ার এক রোমাঞ্চকর অনুভূতি পাবেন পর্যটকরা। আধুনিক জগতের এমন ব্যতিক্রম আয়োজন পাল্টে দিবে কক্সবাজারের পর্যটনের আবহ। সৈকতের বালিয়াড়িতে সূচনা হয়েছে নতুন মাত্রার। দেশের প্রথম ডিজিটাল পদ্ধতির এই ‘ফ্লাই ডাইনিং’ নির্মাণ করেছে আন্তর্জাতিক ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ‘ইউর ট্রাভেলস লিমিটেড’। এখানে খাবার গ্রহণের সময় বাড়তি আনন্দ উপভোগ করবেন গ্রাহকরা।