বাঙালি হয়ে মাছ ধরতে জানেনা এমন লোক খুব কমই পাওয়া যাবে। আমাদের পূর্বপুরুষরা সকলে দুটি কাজ অবশ্যই জানতে হত এর মধ্যে একটি কৃষি আরেকটি হচ্ছে মাছ ধ’রা। এ দুটি কাজের অ’ভিজ্ঞতা প্রায় সকলের মাঝেই থাকতো। কিন্তু আস্তে আস্তে তা এখন কোথায় যেন হারিয়ে যাচ্ছে। প্রযু’ক্তির অগ্রগতির ফলে মানুষ এখন আর এই কাজের দিকে ঝুঁকছে না। তবে এখনো গ্রামের লোকজন এই কাজগুলো আঁকড়ে ধ’রার চেষ্টা করে যাচ্ছে।
আগের দিনের মানুষ মাছধ’রা শুধু শখের বসে শিখতে। পেশা হিসেবে মাছ ধ’রার কাজটি নির্বাচন করতো। এখন খুব মানুষ পাওয়া যায় যারা মাছ ধ’রাকে পেশা হিসেবে নির্বাচন করেছে। এগুলো আস্তে আস্তে হারিয়ে যাচ্ছে। মানুষ দিন দিন শহরমুখী হওয়ার কারণে গ্রামের ঐতিহ্য গুলো দিন দিন ভুলে যাচ্ছে। এখনকার মানুষ আর পূর্বের মত মাছ ধ’রার সরঞ্জাম ব্যবহার করে না। প্রযু’ক্তির অগ্রগতির ফলে সরঞ্জাম গুলো বদলে গেছে।
মাছ ধ’রা যে কত আনন্দের যারা বিভিন্ন প্রক্রিয়ায় মাছ ধরেছে তারাই জানে। বিশেষ করে এখনো যারা গ্রামে বসবাস করি এবং যাদের বাড়ি হাওর বাওর নদী নালা খাল বিলের পাশাপাশি তারাই মাছ ধ’রার প্রকৃত আনন্দ উপভোগ করতে পারি। বর্তমানে গ্রামের অধিকাংশ মানুষ শখের বসেই ধরে থাকে।
তবে আম’রা যারা শৈশব কাটিয়েছি গ্রামে তারা অবশ্যই ছোটবেলার মাছ ধ’রাটাকে মিস করে থাকি। অসংখ্য মাছ ধ’রার পদ্ধতি রয়েছে। বিভিন্ন পদ্ধতিতে বিভিন্ন রকম সরঞ্জাম ব্যবহার করা হয়। তার মধ্যে অন্যতম হচ্ছে জাল, বরশি, কুচ, ও বিভিন্ন প্রকার ফাঁদ। যেগুলো দিয়ে মানুষকে সচরাচর মাছ ধরতে দেখা যায়। এছাড়াও বিভিন্ন প্রকার সরঞ্জাম রয়েছে ।
এগুলো দিয়ে সচরাচর মাছ ধরতে দেখা যায়না। তবে দিন দিন আরো নতুন নতুন সরঞ্জাম আবিষ্কার হচ্ছে যেগুলো দিয়ে মাছ ধ’রার অনেক সহ’জ হয়ে যাচ্ছে।
কিছুদিন আগে নতুন এক প্রক্রিয়ায় মাছ ধ’রার ভিডিও ভাই’রাল হয়। যেখানে দেখা যায় গ্রামের কিছু ছোট বাচ্চারা নতুন একটা কায়দায় মাছ ধরছে। এতে সরঞ্জাম হিসেবে ব্যবহার করা হয়েছে
খেজুর গাছের ডাল। আম’রা সকলেই জানি খেজুর গাছে বড় বড় কাঁ’টা হয়ে থাকে। খেজুর গাছের ডালগুলো উল্টো করে বাসের সাথে বেঁধে নিয়ে সরঞ্জাম তৈরি করা হয়। এই সরঞ্জামটি খুব সহ’জেই বিনা খরচে বাড়িতে বসেই তৈরি করা যায়। ভিডিওটিতে দেখা যায় কিছু ছে’লে সরঞ্জাম তৈরি করে একটি নদীর ধারে গিয়ে কিছু খাবার ছুড়ে ফেলে পানিতে।
এবং ছোট ছোট মাছ কখন খাবার গুলো খেতে আসে তখনো সরঞ্জাম টি মাছের উপর ছুড়ে মা’রে। এবং খেজুর গাছের কা’টার মধ্যে পুটি মাছ আ’ট’কে উপরে চলে আসে।এ পদ্ধতিতে বেশি বড় মাছ ধ’রা যাবেনা। এই পদ্ধতিতে মাছ ধ’রার ভিডিও এর পূর্বে আমি আর কখনো দেখিনি।
আপনারা যারা গ্রামে বসবাস করেন এবং মাঝে মাঝে শখের বসে মাছ ধরেন তারা চাইলেই এই পদ্ধতিতে মাছ ধরতে পারেন। এ পদ্ধতিতে মাছ ধ’রার কিছু সুবিধাও রয়েছে যেমন সময় কম লাগবে, সরঞ্জাম এর খরচ নেই, এবং খুব সহ’জেই তৈরি করা যায়। ভিডিওটি না টেনে দেখার অনুরোধ রইলো। বিস্তারিত ভিডিওতে দেখু’নঃ