৮ বছরের পরিশ্রমে জন্ম নিল নতুন চারাগাছ, অনন্য আবিষ্কার

নামটা পনীর ফুল। এই নামেই একটি গাছকে চেনেন সকলে। পনীর কেন? কারণ এই গাছের ফল পনীর তৈরি করতে কাজে লাগে। ফলে ব্যবহার হয় পনীর তৈরির কারখানাগুলিতে।

এ গাছের নাম ঋষ্যগন্ধা। ভারতের প্রাচীন আয়ুর্বেদ শাস্ত্রে এর উল্লেখ পাওয়া যায়। রয়েছে ওষধি গুণ। ফলে এই গাছের ব্যবহার আয়ুর্বেদ চিকিৎসার অঙ্গ।

কিডনির সমস্যা বা মধুমেহ রোগে এর ব্যবহার রয়েছে। ৮ বছর আগে বেনারস হিন্দু বিশ্ববিদ্যালয়ের বোটানি বিভাগের গবেষকেরা ঋষ্যগন্ধার ওপর গবেষণা শুরু করেন। তাঁরা এই ঋষ্যগন্ধারই একটি অন্য ধরনের জন্ম দেওয়ার চেষ্টা চালাতে থাকেন।

৮ বছর ধরে পরিশ্রম চালিয়ে অনেক সময় ব্যর্থ হতে হয়েছে তাঁদের। কিন্তু হাল ছাড়েননি তাঁরা। অবশেষে তাঁরা গবেষণাগারেই তৈরি করে ফেললেন সেই বিশেষ চারা। যা ঋষ্যগন্ধারই একটি ধরন। তবে তা প্রকৃতির মাঝে প্রকৃতির নিয়মে তৈরি হয়নি। হয়েছে গবেষণাগারে।

এই বিশেষ ধরনটির রয়েছে অন্য গুণ। এই নতুন ধরনের ঋষ্যগন্ধার চারা আদপে মারণ রোগ ক্যানসার সারাতে কাজে লাগানো যাবে বলে জানা গেছে। সব ধরনের ক্যানসার সারাতেই এই চারার ব্যবহার হতে পারে।

তবে ঋষ্যগন্ধার এই নয়া ধরণ মহিলাদের জরায়ুর একদম নিচের অংশে হওয়া ক্যানসার সারাতে সবচেয়ে বেশি করে ব্যবহার হতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। সেই গুণাগুণ রয়েছে এর মধ্যে।

প্রসঙ্গত বহু প্রাচীন কাল থেকে ঋষ্যগন্ধা গাছ ভারত, আফগানিস্তান ও পাকিস্তানের গরম ও আর্দ্র পরিবেশে দেখতে পাওয়া যায়। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা

About reviewbd

Check Also

লতা-পাতা নয়, চা-সিগারেট খাচ্ছে ছাগল, ভাইরাল ভিডিও

প্রায় ৩০০ প্রজাতিরও বেশি ছাগল রয়েছে। এটা গৃহপালিত প্রাচীনতম প্রজাতির প্রাণীদের মধ্যে একটি, প্রত্নতাত্ত্বিক প্রমাণ …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *