পৃথিবী ছেড়ে অন্যকোনো গ্রহে বসবাসের জন্য মানুষের গবেষণার শেষ নেই। খুব অল্প সময়ের মধ্যে মানুষ একই অভিযানে সফল হবে বলে মনে করেন বিজ্ঞানিরা। পৃথিবীর বাইরে বসবাসের জন্য যেসব সম্ভাব্য যায়গা নিয়ে গবেষণা হচ্ছে তার মধ্যে অন্যতম চাঁদ।
অ্যাপোলো-১১তে চড়ে মানুষ চাঁদে পা রেখেছিল প্রায় ৫০ বছর আগে। এর পর থেকে চাঁদে আসা যাওয়া চলছে গবেষকদের। পৃথিবীর একমাত্র এই উপগ্রহে মানুষের বসবাসের ব্যবস্থা করতে সবরকম চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন বিজ্ঞানিরা।
গৃহটি মানুসের বসবাসের জন্য উপযোগি অনেক পরিবেশ রয়েছে। তবে রয়েছে নানা বাধা। ওই বাধাগুলোর মধ্যে একটি হচ্ছে ‘লুনার ডাস্ট’ বা ‘চন্দ্র ধুলা’। সম্প্রতি চন্দ্র ধুলা নিয়ে মারাত্মক তথ্য প্রকাশ করেছে বিজ্ঞানিরা।
চন্দ্র ধুলা নিয়ে ইতিপূর্বে যেসব তথ্য পাওয়া গেছে তার চেয়ে মারাত্মক ক্ষতিকার তথ্য পেয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের মহাকাশ গবেষণা কেন্দ্র ‘ন্যাশনাল এ্যারোনটিক্স এন্ড স্পেস এডমিনিস্ট্রেশন’ (নাসা)।
নতুন গবেষণায় দেখা গেছে, চন্দ্র ধুলায় এমন এক ধরণের রাসায়নিক রয়েছে যা মানুষের ফুসফুসকে আক্রান্ত করে। ওই রাসায়নিকে ফুসফুস আক্রান্ত হতে ফুসফুস ক্যান্সার অনিবার্য।
১৯৭২ সালে ‘অ্যাপোলো-১৭’ যখন চন্দ্র অভিযানে গিয়েছিল তখন এতে ছিলেন মহাকাশ বিজ্ঞানি হ্যারিসন স্মিথ। ওই সময় তিনি চাঁদের মাটিতে নেমেছিলেন। পরবর্তীতে তার জ্বর, চোখ দিয়ে পানি ঝরা এবং গলায় ব্যাথা হয়েছিল।
তবে সব বাধা অতিক্রম করে চাঁদে মানুষের বসবাস নিশ্চিত করতে চলছে গবেষণা। এই গবেষণা দলে রয়েছেন র্যাচেল ক্যাস্টন। যিনি স্টনি ব্রোক বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক।
চাঁদে বসবাসের সম্ভাব্যতা নিয়ে তিনি বিখ্যাত ‘জিওহেলথ’ জার্নালে লিখেছিলেন, ২০৩০ সালে চাঁদে বসবাসের জন্য প্রথমে ১০জন বিজ্ঞানি যাবেন। ২০৪০ সালেই সেই সংখ্যা বেড়ে হবে ১০০ এবং ২০৫০ সালে কয়েক হাজার মানুষ বসবাস করতে পারবে।
কিন্তু নাসার সাম্প্রতিক এই গবেষণা চন্দ্র ধুলায় যে রাসায়নিক পাওয়া গেছে তাকে র্যাচেল ক্যাস্টনের আশায় ভাটা পড়বে বলেই মনে করছেন বিজ্ঞানিরা।
সূত্র: ডেইলি মেইল।