মাদারীপুরের কালকিনিতে বিয়ের জন্য মেয়ে দেখতে গিয়ে কলেজছাত্রীর সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে এক যুবকের। হয় শারীরিক মেলামেশাও। পরে কলেজছাত্রী বিয়ের জন্য চাপ দিলে শুরু হয় টালবাহানা।
এরপর বিয়ের দাবিতে ৫ দিন ধরে ওই কলেজছাত্রী প্রেমিকের বাড়িতে এসে অবস্থান কর্মসূচি পালন করে আসছেন। তবে ওই কলেজছাত্রীর অবস্থানের পর থেকেই বখাটে ওই প্রেমিক গা-ঢাকা দিয়ে আছেন। তবে এ খবরে ওই বাড়িতে উৎসুক জনতা প্রতিনিয়ত ভিড় জমাচ্ছেন।
বৃহস্পতিবার দুপুরে সরেজমিন ও কলেজছাত্রীর পরিবারের অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, এইচএসসি দ্বিতীয় বর্ষের এক ছাত্রীকে বিয়ে করার জন্য দেখতে যান কয়ারিয়া এলাকার বড়চর কয়ারিয়া গ্রামের কবির শিকদারের বখাটে ছেলে রবিউল শিকদার (২৫)। ওই সময়ই এক ফাঁকে রবিউল গোপনে কলেজছাত্রীর মোবাইল নম্বর সংগ্রহ করেন।
পরবর্তীতে রবিউল কলেজছাত্রীর সঙ্গে মোবাইল ফোনে কিছুদিন কথা বলার পর উভয়ই প্রেমের সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েন। এর সূত্র ধরে রবিউল তাকে বিয়ের প্রলোভন দিয়ে বিভিন্ন সময় শারীরিক সম্পর্ক তৈরি করেন। কিন্তু রবিউলকে বিয়ে করার জন্য ওই কলেজছাত্রী চাপ প্রয়োগ করলে তিনি বিভিন্ন টালবাহানা শুরু করেন। এতে ওই কলেজছাত্রী নিরুপায় হয়ে বিয়ের দাবিতে রবিউলের বাড়িতে এসে গত ৫ দিন ধরে অবস্থান করছেন।
রবিউলের পরিবার সূত্রে জানা যায়, রবিউল এর আগেও এক নরসুন্দরের মেয়েকে একাই বিয়ে করেছিলেন।
ভুক্তভোগী কলেজছাত্রী সাংবাদিকদের কাছে অভিযোগ করে বলেন, রবিউল বিয়ের প্রলোভন দিয়ে একাধিকবার আমার সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক করেছে। এখন সে আমাকে বিয়ে করবে না। তাই আমি তার বাড়িতে বিয়ের দাবিতে অবস্থান কর্মসূচি পালন করছি। আমাকে সে বিয়ে না করলে আমি আত্মহত্যা করব।
অভিযুক্ত রবিউলের মা খুকি বেগম বলেন, আমার ছেলে এর আগেও একজনকে বিয়ে করেছিল, তাই ওই মেয়েকে সে বিয়ে করবে না। ওই মেয়ের সঙ্গে আমার ছেলে খারাপ কোনো কাজ করেনি।
এ ব্যাপারে কালকিনি থানার ওসি ইশতিয়াক আশফাক রাসেল বলেন, মেয়ের পরিবারের পক্ষ থেকে অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেয়া হবে।