এবারের লকডাউনের মধ্যে জরুরি কারণ ছাড়া কেউ বাড়ির বাইরে যেতে পারবে না বলে জানিয়েছে সরকার। এ লকডাউনে সরকারি-বেসরকারি সব অফিস বন্ধ থাকলেও গুরুত্বপূণ কিছু অফিস খোলা থাকবে।
এ প্রসঙ্গে জনপ্রশাসন মন্ত্রী প্রতিমন্ত্রী সাংবাদিকদের বলেন, বিধিনিষেধের মধ্যে সকল সরকারি ও বেসরকারি অফিস বন্ধ থাকবে। তবে বাজেটের কাজে সহযোগিতার জন্য গুরুত্বপূর্ণ ব্যাংক শাখা, জাতীয় রাজস্ব বোর্ডসহ কয়েকটি অফিস আগামী ৩০ জুন পর্যন্ত খোলা থাকবে বলে জানান প্রতিমন্ত্রী।
প্রসঙ্গত, সোমবার থেকে সারা দেশে কঠোর লকডাউন জারি করার কথা ঘোষণা দিয়েছে সরকার। এর আগে ৩০ জুন পর্যন্ত সাতটি জেলার কঠোর লকডাউন জারি করা হয়।
শুক্রবার রাতে তথ্য মন্ত্রণালয়ের প্রধান তথ্য অফিসার সুরথ কুমার সরকার স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানান।
এ সময় জরুরি পরিষেবা ছাড়া সব সরকারি বেসরকারি অফিস বন্ধ থাকবে।জরুরি পণ্যবাহী ব্যতীত সকল প্রকার যানবাহন চলাচল বন্ধ থাকবে। অ্যাম্বুলেন্স ও চিকিৎসা সংক্রান্ত কাজে যানবাহন শুধু চলাচল করতে পারবে।
আরো পরুনঃ
লকডাউনে ব্যাংক খোলার বিষয়ে সিদ্ধান্ত আসছে
আগামী সোমবার (২৮ জুন) থেকে শুরু হওয়া এক সপ্তাহের ‘কঠোর লকডাউনে’ ব্যাংক বন্ধ না খোলা থাকবে, এ বিষয়ে আগামীকাল রোববার সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।
এ প্রসঙ্গে বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র সিরাজুল ইসলাম বলেন, ব্যাংক খোলা থাকবে না বন্ধ থাকবে সে সিদ্ধান্ত আগামী রোববার (২৭ জুন) ব্যাংকগুলোকে জানানো হবে। ‘লকডাউন’র বিষয়ে সরকারের প্রজ্ঞাপনের পরই আমরা বিস্তারিত জানাতে পারবো।
তবে জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন বলেছেন, জুন ক্লোজিংয়ের কারণে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের কিছু বিভাগ ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান খোলা থাকবে।
জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী আরো বলেন, ‘কঠোর লকডাউনে’ জরুরিসেবা ছাড়া বন্ধ থাকবে সবকিছু। তবে অর্থবছর শেষ হওয়ায় আর্থিক প্রতিষ্ঠান এবং জাতীয় রাজস্ব বোর্ড ও হিসাব সংক্রান্ত কিছু অফিস সীমিত পরিসরে খোলা রাখা হবে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকটি বেসরকারি ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক বলেন, জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রীর বক্তব্য অনুযায়ী জুন ক্লোজিংয়ের কারণে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান সীমিত পরিসরে খোলা থাকবে মানে ব্যাংকের কিছু শাখা খোলা থাকবে। কারণ এনবিআরের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ব্যাংকের কিছু শাখায় কাজ করতে হবে। তাই ব্যাংক খোলা থাকবে।