কভিড চিকিৎসায় প্রায় ৭০ ধরনের ওষুধ আছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডাব্লিউএইচও) তালিকায়। বেশির ভাগই ইনজেকশনে ডোজ দেওয়ার দরকার হয়। কভিড চিকিৎসা আরো সহজলভ্য করার জন্য খাওয়ার ওষুধ আনার চেষ্টা চলছিল দীর্ঘদিন ধরেই। যুক্তরাষ্ট্রের একটি কম্পানি শিগগিরই বাজারে আনছে এই ওষুধ।
গবেষকদের দাবি, মলনুপিরাভির নামের অ্যান্টিভাইরাল এই ওষুধটি ব্যবহারে করোনায় মৃত্যু ও হাসপাতালে ভর্তির সংখ্যা অর্ধেকে নেমে আসবে। এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে বার্তা সংস্থা এপি।
এই ওষুধ সরাসরি ট্যাবলেটের মতো খেতে পারবে রোগীরা। এত দিন যুক্তরাষ্ট্রে এই ওষুধের পরীক্ষামূলক প্রয়োগ চলছিল। গবেষকদের দাবি, এই ওষুধ দেহের কোষে ভাইরাসের সংক্রমণ থামিয়ে দিতে পারে ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই।
মার্কিন কম্পানি মার্ক ও রিজব্যাক বায়োথেরাপিউটিকস যৌথ উদ্যোগে এই ক্যাপসুল তৈরি করেছে। এর ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালের রিপোর্ট বেশ ভালো। ৭৭৫ জন স্বেচ্ছাসেবীর ওপর ওষুধটি প্রয়োগ করা হয়েছে। তাদের মধ্যে ৮ শতাংশ করোনায় আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে। ১৪ শতাংশ সামান্য অসুস্থতা অনুভব করেছে। তবে কারো মৃত্যু হয়নি।
নেচার মাইক্রোবায়োলজি সায়েন্স জার্নালে মলনুপিরাভির ওষুধের বিষয়ে বিস্তারিত লিখেছেন গবেষকরা। ভাইরোলজিস্ট এবং সংক্রামক রোগ বিশেষজ্ঞ ডক্টর রিচার্ড প্লেমপার বলেছেন, ইনফ্লুয়েঞ্জা ভাইরাসের প্রতিষেধক হিসেবে ব্যবহার করা হয় মলনুপিরাভির।
আর ইনফ্লুয়েঞ্জা ভাইরাসের সঙ্গে সার্স-কভ-২ ভাইরাসের অনেক মিল রয়েছে। ইনফ্লুয়েঞ্জার মতো করোনাও আরএনএ (রাইবোনিউক্লিক এসিড) ভাইরাস। যেকোনো সংক্রামক আরএনএ ভাইরাল স্ট্রেনকে নিষ্ক্রিয় করে দিতে পারে এই ওষুধ। এটি ২৪ ঘণ্টার মধ্যে সংক্রমণ ঠেকাতে পারে বলে দাবি।
উত্তর ক্যারোলাইনা চ্যাপেল হিল বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইরোলজিস্ট টিমোথি সিয়াহান বলেন, ‘শুধু নিজেকে সুস্থ করে তোলাই নয়, অন্যের শরীরে সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়া রুখতেও কার্যকরী হয়ে উঠতে পারে এই ওষুধ।’ সূত্র : এপি।