কুমিল্লার পূজামণ্ডপে পবিত্র কোরআন রাখার কথা স্বীকার করেছেন ইকবাল হোসেন। শুক্রবার (২২ অক্টোবর) দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে তাকে কুমিল্লা পুলিশ লাইনে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের সময় তিনি এ ঘটনা স্বীকার করেন। এর আগে গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে কক্সবাজারের সমুদ সৈকত থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
কুমিল্লার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার তানভীর আহমেদ বিষয়টি নিশ্চিত করেন। তিনি জানান, গ্রেপ্তার ইকবাল তার অপরাধ স্বীকার করেছে। তবে কার নির্দেশে তিনি এ কাজটি করেছেন, তা এখনো জানাননি। এ বিষয়ে প্রেস ব্রিফিং করা হবে।
এর আগে, বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে কক্সবাজার সমুদ্র সৈকত এলাকার সুগন্ধা পয়েন্ট থেকে ইকবালকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। খবর পেয়ে রাতেই কুমিল্লা জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) সোহান সরকারের নেতৃত্বে কুমিল্লা থেকে রওনা দেয় পুলিশের একটি টিম। শুক্রবার দুপুরে তাকে কুমিল্লা পুলিশ লাইনে এনে প্রাথমিকভাবে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়।
গত ১৩ অক্টোবর কুমিল্লা মহানগরীর নানুয়ার দিঘিরপাড় পূজামণ্ডপে কোরআন রাখা নিয়ে মন্দিরে হামলা ও ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় কুমিল্লার বিভিন্ন থানায় ৯ মামলায় ৭৯১ জনকে আসামি করা হয়। এরমধ্যে কোতোয়ালি মডেল থানায় পাঁচটি, কুমিল্লা সদর দক্ষিণ মডেল থানায় দুটি এবং দাউদকান্দি ও দেবীদ্বার থানায় একটি করে মামলা হয়েছে।
৯১ জনের নাম উল্লেখ করে মামলায় ৭০০ অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তিকে আসামি করা হয়েছে। এ পর্যন্ত ৪৪ জনকে গ্রেপ্তার করেছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। মণ্ডপের আশপাশসহ নগরীর বেশ কয়েকটি এলাকার সিসিটিভি ক্যামেরার ফুটেজ সংগ্রহ করে ইকবালকে শনাক্ত করে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।