শরীয়তপুরের ভেদরগঞ্জে স্ত্রীকে ফেলে কলেজছাত্রীকে নিয়ে পালিয়েছেন একই কলেজের এক কর্মচারী। ওই যুবকের নাম রাসেল আহমেদ। রাসেলের সঙ্গে পালিয়ে যাওয়া ওই কলেজছাত্রীও বিবাহিত। তার ৪ বছর বয়সী একটি পুত্রসন্তান রয়েছে। স্বামীর ঘরে শিশুসন্তান রেখে মেয়ে পালিয়ে যাওয়ার খবর শুনে হার্ট অ্যাটাকে মারা গেছেন ওই কলেজছাত্রীর মা। বৃহস্পতিবার (২১ অক্টোবর) ঘটনাটি এলাকায় ছড়িয়ে পড়ে।
রাসেল আহমেদ হাজী শরীয়তউল্লাহ কলেজের নিম্নমান সহকারী (করণিক) ও চরভাগা ইউনিয়ন যুবলীগের দপ্তর সম্পাদক। পালিয়ে যাওয়া তরুণীও একই কলেজের ছাত্রী। বৃহস্পতিবার কলেজছাত্রীর সঙ্গে করণিকের পালিয়ে যাওয়ার ঘটনাটি জানাজানি হলে এলাকাজুড়ে চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়। এ ঘটনায় রাসেল আহমেদের বিরুদ্ধে অপহরণ মামলা করেছেন ওই কলেজছাত্রীর স্বামী।
পারিবারিক ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, ২০১৬ সালে সখিপুরের ডিএমখালী ইউনিয়নের এক যুবকের সঙ্গে পারিবারিকভাবে বিয়ে হয় সখিপুর ইউনিয়নের এক তরুণীর। বর্তমানে তাদের ঘরে ৪ বছর বয়সী পুত্রসন্তান রয়েছে। পাশাপাশি তিনি পড়াশোনা করেন হাজী শরীয়তউল্লাহ কলেজে। সেখানে পড়াশুনাকালে কলেজের নিম্নমান সহকারী রাসেল আহমেদের সঙ্গে তার প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। এর জেরে ১৭ অক্টোবর সকালে রাসেল আহমেদ ওই ছাত্রীকে নিয়ে পালিয়ে যান।
ওই কলেজছাত্রীর স্বামীর অভিযোগ, যাওয়ার সময় স্ত্রী তার ঘর থেকে নগদ ১ লাখ টাকা ও পাঁচ ভরি স্বর্ণালংকার নিয়ে গেছে। পরিবারের লোকজন অনেক খোঁজাখুঁজি করেও তাকে আর খুঁজে পায়নি। তিনি আরও বলেন, আমার স্ত্রী নগদ টাকা ও স্বর্ণালংকার নিয়ে পালিয়েছে। এখন আমার ১টি সন্তান তার মায়ের পথ চেয়ে চোখের পানি ফেলছে। বিষয়টি সমাধানে আমি আদালতের আশ্রয় নিয়েছি।
কলেজের প্রিন্সিপাল আবুল বাশার আল আজাদ বলেন, রাসেল আহমেদকে কোথাও খুঁজে না পেয়ে তার স্ত্রী ও মা আমার সঙ্গে যোগাযোগ করে। আমিও তার ব্যবহৃত মোবাইল ফোন বন্ধ পাই। এক দিন পর জানতে পাই যে, কলেজের এক ছাত্রীকে নিয়ে সে পালিয়েছে। পূজার জন্য কলেজ বন্ধ। কলেজ খুললে গভর্নিং বডির সিদ্ধান্ত অনুযায়ী রাসেল আহমেদের বিষয়ে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানান তিনি।