ঢাকার ধামরাইয়ে অন্তরঙ্গ মুহূর্তে প্রেমিকের জিহ্বা কাটার অভিযোগে গ্রেফতার হওয়া সেই তরুণীসহ ৩ জনের জামিন দিয়েছেন আদালত। গত রবিবার (২৪ অক্টোবর) ঢাকার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট শাহজাদী তাহমিদা তাদের জামিন মঞ্জুর করেন। জামিন প্রাপ্তরা হলেন, তরুণী, তার মা আনোয়ারা বেগম ও ভাই ফারুক হোসেন। তবে তরুণীর বাবা শফিকুল ইসলামের রিমান্ড ও জামিন নামঞ্জুরের আদেশ দেন আদালত।
পুলিশ ও ভুক্তভোগী পরিবার সূত্র জানায়, সাইফুল ইসলামের সঙ্গে ফড়িঙ্গা গ্রামের এক তরুণীর (২৫) প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে তার সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক গড়ে তোলেন সাইফুল। কিন্তু বিয়ে না করে দিনের পর দিন সময়ক্ষেপণ করতে থাকলে প্রেমিকা ক্ষিপ্ত হন। আসামিপক্ষের আইনজীবী রিয়াজুল ইসলাম জামিনের এ বিষয়টি গণমাধ্যমকর্মীদের নিশ্চিত করেছেন।
প্রসঙ্গত, ঢাকার ধামরাই উপজেলার ফড়িঙ্গা গ্রামে গত শনিবার (২৩ অক্টোবর) সন্ধ্যায় শফিকুল ইসলামের বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে।জানা যায়, এক তরুণীর সাথে দীর্ঘদিনের প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তুলেন সাইফুল ইসলাম নামে এক প্রেমিক। কিন্তু বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে প্রেমের সম্পর্কের দীর্ঘ সময় পরেও বিয়ে না করায় ওইদিন সন্ধ্যা ৬টার দিকে প্রেমিক সাইফুল ইসলাম প্রেমিকার বাড়িতে গেলে পূর্বপরিকল্পনা অনুযায়ী অন্তরঙ্গ মুহূর্তে ব্লেড দিয়ে প্রেমিকের জিহ্বা দ্বিখণ্ডিত করেন।
এছাড়াও প্রেমিকার স্বজনরা তাকে বেধড়ক মারধর করেন। একপর্যায়ে সাইফুল নিস্তেজ হয়ে পড়লে মৃত ভেবে তারা ঘরের মেঝেতে ফেলে বাড়ি ছেড়ে পালিয়ে যান। এরপর স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করেন। পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে প্রেমিকের কেটে রাখা জিহ্বা জব্দ করে। রাতেই প্রেমিকাসহ ৫ জনের নামে মামলা করে ভুক্তভোগী সাইফুল ইসলামের বাবা রহমত আলী।