করোনাভাইরাসের নতুন ভ্যারিয়েন্ট ওমিক্রনে কাঁপছে বিশ্ব। এ অবস্থায় বিশ্বের বিভিন্ন দেশে জরুরি অবস্থা জারি করা হয়েছে। করোনার নতুন এই ভ্যরিয়েন্ট মোকাবেলায় বিভিন্ন পদক্ষেপ নিতে চলেছে বাংলাদেশ সরকার। ইতিমধ্যেই করোনার নতুন ধরন ওমিক্রন রোধে করণীয় নির্ধারণে বৈঠকে বসেছে ১৮ মন্ত্রণালয়।
ফলে আবারও লকডাউনের শঙ্কাও তৈরি হয়েছে মানুষের মাঝে। তবে সচিবালয়ে বৈঠক শেষে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক জানিয়েছেন, যেভাবে করোনার ডেল্টা ভ্যারিয়েন্ট ছড়িয়েছিলো তাতে অনেক ক্ষতি হয়েছে। এবারের ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্টটি খুবই সংক্রামক তাই সবাইকে স্বাস্থ্যবিধি মানতে হবে। আমরা আবার লকডাউন চাই না।
মন্ত্রী জানান, করোনার ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্ট খুবই সংক্রামক। আমরা ইতোমধ্যে হাসপাতাল প্রস্তুত করে রেখেছি। ১২০টি হাসপাতালে ১৮ হাজার বেড আছে। সেখানে অক্সিজেন লাইনও আছে। এছাড়াও সিনিয়র বা ৬০ বছরের বেশি বয়স্কদের বুস্টার ডোজ দেয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে।
লডকাউনের বিষয়ে এখনই সরকার ভাবছে না। আফ্রিকান ভ্যারিয়েন্ট ‘ওমিক্রন’ মোকাবিলায় সকলকে টিকার আওয়াতায় আনতে চাইছে সরকার। স্বাস্থমন্ত্রী জানান, ‘ইতোমধ্যে ১০ কোটি ডোজ টিকা দেয়া হয়ে গেছে। এরমধ্যে সিঙ্গেল ডোজ ৬ কোটির মতো, ডাবল ডোজ ৪ কোটির কাছাকাছি হয়ে গেছে। আমরা স্কুলের ছাত্র, বস্তিবাসী, সব পর্যায়ের লোকজনকে টিকা দেয়ার জন্য একেবারে কমিউনিটি ক্লিনিক পর্যন্ত গিয়েছি। ফাইজারের টিকাও আমরা বিভিন্ন জেলা উপজেলায় নিয়ে গেছি। তারপরও দেখা যায় অনেকে টিকা এখনও টিকা নেননি। আগে যে আগ্রহটা পেয়েছি টিকা নেয়ার সেই আগ্রহটা একটু কম।’
মন্ত্রী বলেন, ‘আমরা একটা সিদ্ধান্ত নিয়েছি যেটা সবাই একমত হয়েছেন- আগে যেমন ‘নো মাস্ক, নো সার্ভিস’ ছিল ছিল, এখন আমরা বলতে চাচ্ছি ‘নো ভ্যাকসিন, নো সার্ভিস’। এটা আমাদের পরামর্শ রইল। এটা করতে পারলে আমাদের টিকা কার্যক্রমটা আরও বেগবান হবে, টিকা নেয়ার জন্য লোক এগিয়ে আসবে।’
কীভাবে এটা বাস্তবায়ন হবে- জানতে চাইলে মন্ত্রী বলেন, এখানে বসেই ‘নো ভ্যাকসিন, নো সার্ভিস’ স্লোগানটা তৈরি হয়েছে। আমরা এটা চিঠির মাধ্যমে সব মন্ত্রণালয়কে জানিয়ে দেব। তারা এটাকে যার যার মতো করে এনফোর্স করবে। টার্গেট লেভেলে আমরা ব্যবসায়িক সংস্থাকে জানিয়ে দেব। সরকারিভাবে সরকারি সংস্থাকে জানিয়ে দেব।’