গরমে মাথার ত্বক ঘেমে চুল নোংরা হয়। ময়লা জমতো শুরু করে চুলে। এ কারণে উকুনের সমস্যাও বেড়ে যায়। যাদের চুল বড় ও ঘন বেশি; তাদের মাথা একটু নোংরা হলেই উকুন বংশবিস্তার শুরু করে।
চুলে উকুন হলে তা যেমন অস্বস্তিকর; তেমনই বিরক্তিকর। মাথায় উকুন থাকলে সারাক্ষণই চুলকায়। যা বিব্রতকর হতে পারে। উকুন এক মাথা থেকে অন্য মাথাতে বেশ দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে এবং এর বৃদ্ধিও হয় খুব তাড়াতাড়ি।
উকুন একবার মাথায় ঢুকলে তা থেকে মুক্তি পাওয়া খুবই কষ্টকর। তবে কিছু ঘরোয়া উপায় অনুসরণ করলে কয়েকদিনের মধ্যেই উকুনের সমস্যা থেকে মিলবে মুক্তি। জেনে নিন করণীয়-
>> পেঁয়াজের রস চুলের জন্য খুবই উপকারী। চুল পড়া বন্ধে ও নতুন চুল গজাতে এর ভূমিকা অনেক। এ ছাড়াও উকুন তাড়াতে পেঁয়াজ কার্যকরী।
এজন্য পেঁয়াজের রস স্ক্যাল্পে ব্যবহার করে কিছুক্ষণ চুল ঢেকে রেখে হালকা গরম পানি দিয়ে চুল ধুয়ে ফেলুন। চুল হালকা শুকিয়ে আসলে পরে চিরুনি দিয়ে আঁচড়ে নিন এবং উকুন দূর করুন। সপ্তাহে দু’বার ব্যবহার করুন।
>> গরমে লেবুর রস খেলে শরীর যেমন ঠান্ডা থাকে; ঠিক তেমনই এর রয়েছে বিভিন্ন উপকারিতা। ত্বক ও চুলের জন্যও খুবই কার্যকরী লেবুর রস।
লেবু একটি প্রাকৃতিক জীবাণুনাশক, যা উকুন দূর করতে সাহায্য করে। লেবুর রস স্ক্যাল্পে ব্যবহার করে এক ঘণ্টা রেখে ধুয়ে ফেলুন। সপ্তাহে দু’বার ব্যবহার করলেই উকুন কমতে শুরু করবেন।
>> নিম পাতার রস অথবা নিম তেল চুলের জন্য খুবই উপকারী। উকুনের সমস্যা সমাধানেও এটি খুবই কার্যকরী। এজন্য নিম পাতার রস চুলে গোড়ায় ব্যবহার করতে পারেন। এ ছাড়াও নিমের তেল ব্যবহার করেও উকুন দূর করতে পারেন।
পরিমাণমতো নিম তেল ও নারকেল তেল মিশিয়ে হালকা গরম করে স্ক্যাল্পে ব্যবহার করুন। এরপর শাওয়ার ক্যাপ পরুন। ৪ ঘণ্টা পর উকুনের চিরুনি দিয়ে চুল আঁচড়ান এবং তারপরে শ্যাম্পু করে নিন। সপ্তাহে তিনবার এ উপায় অনুসরণ করুন। দ্রুত উকুন থেকে নিস্তার মিলবে।