মানুষের প্রাকৃতিক তিন মৌলিক চাহিদার মধ্যে ঘুম অন্যতম। শরীর ও মনের সুস্থতায় ঘুম অত্যন্ত জরুরি নিয়ামক। রাতের বেলায় ঘুম আমাদের জন্য বিশেষ উপকারি। দিনের প্ররিশ্রমে শরীরে যে ক্লান্তি আসে তা ঘুমের মাধ্যমেই পূর্ণ হয়। পরের দিন কাজের জন্য শরীর প্রস্তুত হয়। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের রেসপিরেটরি মেডিসিন বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ডা. শামীম আহমেদ গণমাধ্যমে গুরুত্বপূর্ণ কিছু পরামর্শ দিয়েছেন। সেগুলো তুলে ধরা হলো-
# ঘুমের ধরণ: আমরা অনেকেই জানি না, ঘুমেরও কিছু ধরণ আছে। যেমন অল্প বয়স্কদের জন্য ঘুম কিছুটা বেশি দরকার হয়। আবার বয়স বেশি হলে ঘুম কম দরকার হয়। কিন্তু একজন পূর্ণবয়স্ক মানুষের জন্য সাত থেকে আট ঘন্টা ঘুমানো খুবই জরুরি। প্রতিদিন একই সময়ে ঘুমাতে যাওয়া দরকার।
রাত জেগে টেলিভিশন দেখা বা অন্যান্য কাজ করার কারণে পরিমাণ মতো ঘুম হয় না। ফলে সারাদিন ক্লান্তির মধ্যে থাকতে হয়। ঘুমকে গভীরতার দিক থেকে কয়েকটি ধাপে ভাগ করা যায়। নন রেম্জ স্লিপ, রেম্জ স্লিপ। ঘুম যদি গভীর না হয় তাহলে শুয়ে সময় দিলেও সেটা প্রশান্তি দেয় না। ক্লান্তি থেকেই যায়।
# নাক ডাকা বা স্লিপঅ্যাপনিয়া: স্লিপঅ্যাপনিয়া নামে এক ধরণের রোগ আছে যা মানুষের ঘুমে ব্যঘাত ঘটায়। এসময় মানুষ শুয়ে থাকলেও ঘুম গভীর হয় না। এক্ষেত্রে তিনি নিজেও বুঝতে পারন না যে তার ঘুম হচ্ছে না। কিন্তু তা পাশে যিনি শুয়ে থাকেন তিনি বুঝতে পারেন।
এই রোগে আক্রান্ত হলে মানুষের ঘুমের সমস্যা হওয়ায় মেজাজ খিটখিটে হয়ে থাকে। কাজে মনোযোগ দিতে পারেন না। স্মৃতিশক্তি কমে যাওয়া সহ হার্টের বিভিন্ন সমস্যা তৈরি হতে পারে।এসব সমস্যা থেকে বাঁচতে হলে অবশ্যই নিয়ম মেনে সময়মতো ঘুমাতে যেতে হবে। বাসায় ঘুমানোরা পরিবেশ ঠিক রাখতে হবে।
# ঘুমানোর সঠিক উপায়: ঘুমাতে যাওয়ার পূর্বে উত্তেজনাপূর্ণ অনষ্ঠান বা সিনেমা দেখা বা বই পড়া থেকে বিরতো থাকতে হবে। গুমের ব্যাঘাত ঘটায় এমন কিছু না খাওয়া। ধুমপান না করা।
ঘুমানোর আগে একটা সার্বিক প্রস্তুতি থাকতে হবে। সব চিন্তা ঝেড়ে ফেলে দিয়ে ঘুমাতে যেতে হবে। বিচানায় শুয়ে কোনো প্রাকার চিন্তা করা যাবে না। ভালোভাবে ঘুমানো একটা অভ্যাস। এজন্য নিয়মিত চেষ্টার মধ্যদিয়ে এটি তৈরি হতে পারে।