ফেনী সদর উপজেলার কালিদহে চাচাতো বোনকে হত্যা করেছে এক কিশোর। এ ঘটনায় অভিযুক্তকে আটক করেছে পুলিশ।
নিহতের নাম তানিসা ইসলাম (১৫)। আর অভিযুক্ত কিশোরের নাম আক্তার হোসেন নিশান (১৬)।
পরিবার ও পুলিশের ধারণা, ‘ধর্ষণে ব্যর্থ হয়ে’ মেয়েটিকে হত্যা করা হতে পারে।
তবে ময়নাতদন্তের রিপোর্ট পাওয়ার পর প্রকৃত ঘটনা জানা যাবে বলে জানিয়েছেন ফেনী মডেল থানার ওসি নিজাম উদ্দীন।
জানা গেছে, তানিসা সদর উপজেলার ডাক্তারপাড়া মহিউসসুন্নাহ মাদ্রসার ষষ্ঠ শ্রেণির ছাত্র ছিল। তার চাচাতো ভাই নিশানও স্থানীয় একটি মাদ্রাসার ষষ্ঠ শ্রেণিতে লেখাপড়া করে।
নিহতের পরিবারের ধারণা, বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ৯টায় তানিসাকে একা ঘরে পেয়ে নিশান ধর্ষণের চেষ্টা চালিয়ে ব্যর্থ হয়। পরে তাকে গলাটিপে হত্যা করে বাড়ির ছাদের সিঁড়ির রুমে নিয়ে মৃতদেহ ঝুলিয়ে রেখে গলাকেটে মৃত্যু নিশ্চিত করে।
ঘটনার সময় তানিসার মা পাশের ঘরে ছিলেন। তানিশার বড় ভাই মসজিদে ইতেকাফে ছিলেন। আর দাদি তারাবির নামাজ পড়ছিলেন। পরে ঘরে গিয়ে তানিসাকে না পেয়ে খুঁজতে থাকেন তার মা। এরপর ছাদে গিয়ে তানিসার রক্তাক্ত লাশ পাওয়া যায়।
খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যায় পুলিশ। সেখানে লাশের পাশে নিশানের জুতা পেয়ে তাৎক্ষণিক তাকে বাড়ি থেকে আটক করা হয়। জিজ্ঞাসাবাদে সে খুনের দায় স্বীকার করেছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
পুলিশ সুপার খোন্দকার নুর নবী সাংবাদিকদের জানিয়েছেন, তানিসা খুনের রহস্য উদঘাটনে পুলিশের একাধিক টিম কাজ করছে।
ফেনী মডেল থানার ওসি নিজাম উদ্দীন যুগান্তরকে জানান, লাশ উদ্ধার করে ফেনী জেনারেল হাসপাতাল মর্গে রাখা হয়েছে। ধর্ষণে ব্যর্থ হয়ে মেয়েটিকে খুন করা হয়েছে নাকি অন্য কোনো কারণ আছে তা তদন্ত করা হচ্ছে।