বিয়ের দাবিতে পটুয়াখালীর দশমিনায় কলেজছাত্র প্রেমিকের বাড়িতে অবস্থান নিয়েছে পাঁচ সন্তানের এক জননী। ওই নারীর নাম মুক্তা বেগম (৩৫)। এই ঘটনা ছড়িয়ে পড়ার পর উপজেলার বহরমপুর ইউনিয়নের বগুড়া গ্রামের মৃধা বাড়িতে উৎসুক মানুষেরা ভীড় জমাচ্ছে। তবে বৃহস্পতিবার (২০ মে) থেকে ওই নারীর সন্ধান মিলছে না।
সংশ্লিষ্টরা বলছেন- ওই নারীর স্বামী চট্টগ্রামে চাকুরি করেন। স্বামীর অবর্তমানে প্রতিবেশি মো. দলু উদ্দিনের ছেলে রুবেল মৃধার সাথে পরকীয়ায় জড়িয়ে পরে মুক্তা। রুবেল পটুয়াখালী সরকারি কলেজের শিক্ষার্থী বলে জানা গেছে।
কিছুদিন না যেতেই রুবেল-মুক্তা ওই ইউনিয়নের আমতলা বাজারের ভাড়া বাসায় একই সাথে বসবাস শুরু করেন। এতে মুক্তা গর্ভবতী হয়ে পরে। কিন্তু রুবেলের অনুরোধে দুই মাসের ভ্রুণ নষ্ট করে দেয় মুক্তা।
ওই সম্পর্কের সুত্র ধরে মুক্তা রুবেল মৃধার নিজ বাড়িতে অবস্থান নেয় এবং অনশন শুরু করে। এসময় রুবেলের পরিবারের কাছে মুক্তা বিয়ের দাবি জানায়। অন্যদিকে রুবেল মৃধার পক্ষে ওই ইউনিয়ন যুবলীগ
সভাপতি মো. আমিনুল ইসলাম মুক্তা ও তার স্বামী সবিরকে ভয়-ভীতি দেখায় বলে অভিযোগ ওঠে। পরদিন সকালে মুক্তার স্বামী সবির প্রেমিক রুবেল মৃধার বাড়িতে গিয়ে স্ত্রীকে নিজ বাড়িতে ফিরিয়ে আনতে গেলে ব্যর্থ হন।
পরে ওই রাতেই যুবলীগের সভাপতি আমিনুল ইসলাম গং মুক্তাকে খোজাখুঁজি শুরু করে । এরপর থেকেই মুক্তা নিখোঁজ হয় বলে দাবি করেন স্থানীয়রা। এরপর উধাও হয় প্রেমিক রুবেল মৃধাও।
ওই ওয়ার্ডের সাবেক মেম্বার গিয়াস উদ্দিনের ছেলে মোহাম্মদ দিনার জানায়- তার সাথে রুবেলে কথা হলে প্রসঙ্গক্রমে রুবেল ওই নারীর সঙ্গে তার পরকীয়ার বিষয়টি স্বীকার করে। রুবেলের মা রোমেনা বেগম বলেন, ‘ছেলেকে অনেক বুঝিয়ে ওই পথ থেকে ফিরে আসতে অনুরোধ করছি, কিন্তু শোনেনি।’
এ প্রসঙ্গে যুবলীগ নেতা আমিনুল ইসলাম বলেন, ‘আমার বিরুদ্ধে অপপ্রচার করছে একটি মহল। এ বিষয় আমি কিছুই জানি না।’
দশমিনা থানার অফিসার ইনচার্জ মো. জসিম উদ্দীন বলেন, ‘ঘটনাটি আমার জানা নেই। এ বিষয় কোন অভিযোগ পাইনি, আমি এখনই ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠাচ্ছি।’