শরীরের যে সমস্যা থাকলে ভুলেও রসুন খাবেন না পড়ুন কাজে লাগবে

আমাদের শরীরের অনেক সমস্যার জন্যই রসুন (Garlic) খুব উপকারি। তবে সবার শরীরের জন্যই যে এই খাবারটি ভাল ফল নিয়ে আসবে তা কিন্তু নয়। রসুনের(Garlic) কিছু কিছু গুণের জন্য আপনার শারীরিক সমস্যা বেড়েও যেতে পারে। আপনার যে সমস্যাগুলো থাকলে রসুন খাওয়া ঠিক নয়, এমন কিছু কারণ জেনে নিন।
লিভারের সমস্যা : লিভারের সমস্যা থাকলে রসুন (Garlic) না খাওয়াই ভাল। কারণ রসুন (Garlic) আপনার লিভারের সমস্যা আরো বাড়িয়ে দিতে পারে।

হোমিওপ্যাথি ওষুধ : পেঁয়াজ, রসুন (Garlic) হোমিওপ্যাথি ওষুধের কার্যকারিতা নষ্ট করে দিতে পারে। তাই হোমিওপ্যাথি ওষুধের কোর্স খেলে সেই সময় রসুন এড়িয়ে চলুন।

নিম্ন রক্তচাপ : কারো যদি নিম্ন রক্তচাপের সমস্যা থাকে তাহলে রসুন(Garlic) কম খাওয়াই ভাল। রসুন রক্তচাপ আরো কমিয়ে সমস্যা তৈরি করতে পারে।
রক্তাল্পতা : রসুন (Garlic) রক্তে হিমোগ্লোবিনের মাত্রা কমিয়ে দেয়। তাই রক্তাল্পতার সমস্যা থাকলে চিকিৎসকের পরামর্শ অনুসারে রসুন খাওয়া বাদ দিতে পারেন।

বদহজম : হজমের সমস্যায় ভুগলে রসুন(Garlic) ও তেল মসলাযুক্ত খাবার থেকে দূরে থাকুন।
গর্ভ নিরোধক পিল : যদি আপনি নিয়মিত গর্ভ নিরোধক পিল খান তাহলে অতিরিক্ত রসুন খাওয়া থেকে বিরত থাকুন। রসুন (Garlic) গর্ভ নিরোধক পিলের কার্যকারিতা কমিয়ে দেয়।

গর্ভকালীন সময়: রসুন শরীর গরম করে। গর্ভাবস্থায় অতিরিক্ত রসুন খেলে তা শরীরের তাপমাত্রা বাড়িযে দেয়। যার ফলে গর্ভপাতের সম্ভাবনা থাকে। যাদের রসুনে অ্যালার্জি আছে তারা এড়িয়ে চলুন।
তবে সমস্যা না থাকলে খালি পেটে রসুন খাওয়ার অনেক উপকারিতা আছে জেনে নিন সে গুলো:

খালি পেটে রসুন (Garlic) খাওয়া স্বাস্থ্যকর একটি ব্যাপার। খালি পেটে রসুন (Garlic) খেলে এমন কিছু উপকার হয়, যেটা অন্য খাবারের সাথে রান্না করা অবস্থায় খেলে হয় না। রসুন অবশ্যই খেতে হবে সকালে, নাস্তা করার আগে। চিবিয়ে খেতে না চাইলে পানি দিয়ে গিলে ফেলুন টুকরো করা দুই কোয়া রসুন।
এটি শক্তিশালী অ্যান্টিবায়োটিকের কাজ করে। গবেষকদের মতে খালি পেটে রসুন (Garlic) খেলে তা হাইপারটেনশন ও স্ট্রেস কমাতে সহায়তা করে। অন্যদিকে হজমের সমস্যাও রোধ করে। স্ট্রেস থেকে পেটে গ্যাসের সমস্যা হলে সেটাও প্রতিরোধ করে খালি পেটে রসুন। অন্যদিকে ডায়রিয়া হলে দ্রুত তা সারিয়ে দেয়। সকালে খালি পেটে রসুন(Garlic) রক্ত পরিস্কার করে।

চাচ্চু (uncle) এসব কি করছো? আমি তো তোমার মেয়ের মতো প্লিজ ছাড়ো…
আমার নাম সুমনা (ছদ্দনাম)। আমার বয়স যখন মাত্র সাত বছর তখন আমার বাবা-মার মধ্যে বিভিন্ন ঝামেলা (problem) বাঁধে এবং তারা দুজনেই ডিভোর্স প্রাপ্ত হয়ে যান। বাবার (father) সংসারে আসে নতুন মা। এরপর শুরু হয় আমার কষ্টের দিন অতিবাহিত করার পালা। বাড়ির সকল কাজকর্ম মা আমাকে দিয়ে করাতো। স্কুলে যেতে চাইলে আমাকে অনেক শারিরীক নির্যাতন (physical torcer) করত। বাবাকে(father) বার বার বলেও কোন লাভ হতো না। বরং বাবাকে (father) ছেড়ে চলে যাওয়ার হুমকি দিত মা। তাই বাবাও কিছু বলত না। চার বছর এভাবে অতিবাহিত হওয়ার পরে আমার বয়স যখন ১১ বছর, তখন আমার বাবা (father) একটি দূরারোগ্য ব্যধিতে আক্রান্ত হয়ে মারা যান।

আমার নতুন মা আমার বাবার সংসার ছেড়ে চলে যান। আমার চাচ্চু (uncle) আমার দায়ভার গ্রহন করার দায়িত্ব নেন। চাচ্চুর(uncle) সংসারে প্রথমত আমার ভালোই লাগলো। তারা আমাকে তাদের বাড়ির কাজের মেয়ের মতো রাখলেও খুব কম ভালোবাসতো না। কারনটা খুব সহজ। বাড়ির সমস্ত কাজ যদি কেউ বিনা বেতনে করে দেয় শুধু খাবারের বিনিময়ে, তাহলে তো ভালোবাসাটা স্বাভাবিক।

এভাবে তিন বছর পার হলে আমি শারীরিকভাবে একটু লম্বাটে ও যৌবনে পা দিই। আমার চাচী একটি স্কুলে পড়াতো। আর চাচ্চুর (uncle) একটি মোদি খানার দোকান ছিল। ফলে সারাদিন আমি একা একাই বাড়িতে থাকতাম। কখন যে আমার চাচ্চুর খারাপ নজরের খপ্পরে আমি পড়ে গেছি তা বুঝিনি। আমি মাঝে মধ্যেই চাচ্চুর (uncle) নজর লক্ষ্য করতাম আমার বুকের দিকে। আমি ভয়ে কিছু বলতাম না। এরই মধ্যে একদিন চাচী স্কুলে চলে গেলে চাচ্চু সকাল দশটার দিকে বাসায় আসেন। আমি তখন সকালের খাবার খাচ্ছিলাম।

এরপর চাচ্চু বলল খাওয়া শেষ করে রুমে এসো? আমি একটু ভয় পেলেও তার হুকুম তো আর অমান্য করার সাহস আমার ছিল না। এরপর দ্রুত খাওয়া শেষ করে রুমে গেলাম। চাচ্চু বলল আমার কাছে এসো। আজ তোমার সাথে কিছু গুরুত্বপূর্ণ কথা বলব। আমি বললাম কি কথা? এই বলে তার কাছে গিয়ে বসলাম। তিনি বললেন তোমার কত সমস্যা? আমি না থাকলে যে তোমার জীবনে কি হতো? এই কথাগুলো বলছিল আর আমার পিঠে, ঘাড়ে, গালে ও গলায় একটু একটু করে হাত দিচ্ছিল।

আমি খুব বিরক্তিবোধ করছিলাম। এরপর আমি উঠতে গেলে তিনি আমার হাত ধরে সজোড়ে টেনে আমাকে খাটে বসালেন। আমি শুধু চাচ্চুকে (uncle) বলছিলাম যে, আমি আপনার মেয়ের মতো। চাচ্চু (uncle) তুমি এসব কি করছো? তিনি আমার স্তনে হাত দিচ্ছিলেন। আমি চেষ্টা করছিলাম ছাড়াতে কিন্তু পারছিলাম না। এক পর্যায়ে আমার সাথে সকল শারীরিক কাজ সম্পূর্ণ করল। আমার খুব কষ্ট হচ্ছিল। কিন্তু মানুষ রুপের এই জানোয়ার কার কথা শোনে। আমার কষ্ট দেখার মতো সময় তার নেই। তার কাজ শেষ হলে তিনি দোকানে চলে যান। আর যাওয়ার আগে অনেক ভয়ভীতি দেখায়। আমি শুধু চুপ করে ডুকড়ে কেঁদে চলেছি। সেদিন আমি কোন কাজ করতে পারলাম না। রুমে গিয়ে শুয়ে পরলাম। বিকেলে চাচী বাসায় এসে কাজ হয়নি দেখে আমাকে অনেক গালাগালি করল। চাচ্চু অবশ্য আমাকে কিছুটা সেফ করল।

এরপর থেকে চাচী স্কুলে চলে গেলেই চাচ্চু (uncle) বাড়িতে আসে। আর আমার অনিচ্ছা থাকা সত্ত্বেও এসব তার সাথে করতে হতো। এভাবে চলে চার বছর। আমি প্রাপ্ত বয়স্ক হতে চললেও আমাকে বিয়ে দিতে তাদের কোন আগ্রহ ছিল না। আমার চাচী তো অর্থ খরচের ভয়ে এসব কথা কখনও মুখেই তুলতোনা। আর চাচ্চু কেন আমার বিয়ে নিয়ে ভাবতো না সেটা হয়তো আপনারা সকলেই বুঝতে পারছেন।

আমি এখন অনেক বড়। সবকিছু বুঝতে শিখেছি। নিজেকে এসব কাজ থেকে বাঁচাতে আমি একটি স্বপ্ন দেখি। এরই মধ্যে একটি ছেলের সাথে আমার পরিচয় হয়। সে রোজ আমাদের বাসার সামনে দিয়ে চলাফেরা করত এবং আমার দিকে তাকিয়ে থাকত। নাম তার শুভ। সে দিনমজুরের কাজ করত। তাতে কি! আমার যে তাকেই ভালো লেগে গেছে। চাচার সংসারে এসব নির্যাতন থেকে বাঁচতে এর চেয়ে বেশী পছন্দ থাকা হয়তো আমার পক্ষে উচিত না। একদিন শুভর সাথে রাতে আমি পালিয়ে চলে গেলাম অনেক দূরে। আমরা বিয়ে করে নিলাম।

একটি ছোট্ট বাসা ভাড়া নিলাম। সে দিনমজুরের কাজে যোগ দিল। খুব ভালো চলছিল আমাদের সংসার। দুই মাস পর আমার চাচ্চু (uncle) খবর পেয়েছে আমি কোথায় আছি। আমার স্বামীর মোবাইলে কল দিয়েছে। চাচ্চু (uncle) নাকি বলেছে, তারা আমাদের মেনে নেবে। আমার স্বামী বাড়িতে ফিরে যেতে চাইছিল। কিন্তু আমি বললাম না। সেখানে আর কখনই আমরা ফিরে যাব না। কারনটা আপনারা বুঝতেই পারছেন। কয়েকদিন পর আমার চাচ্চু আমাদের নিতে আসে। আমার স্বামীও চাচ্চুর কথায় আমাকে বার বার রাজি করানোর চেষ্টা করছে। আমার স্বামী বলল আমি আজ কাজে যাচ্ছি। কাজ থেকে ফিরে আমরা চাচ্চুর সাথে ফিরে যাব। আমি তাকে আজ কাজে যেতে বারণ করলাম।

আমার স্বামী কাজে গেলে আমি খাবার প্রস্তুত করছিলাম। চাচ্চু তখন রুমে। আমি ভয়ে রুমে যাচ্ছিলাম না। হটাৎ চাচ্চু(uncle) আমার রান্নাঘরে প্রবেশ করে বলল রুমে আসতে, আমার সাথে নাকি কথা আছে।আমি বললাম এখানেই বলেন। তিনি বললেন, এখানে না রুমে এসো? আমি বললাম রুমে আমার স্বামী না আসা পর্যন্ত আমি ঢুকব না। তিনি তখনই আমার কাছে এসে আমাকে জোর করে জরিয়ে ধরে আমার শরীরের সব জায়গায় হাত দেওয়ার চেষ্টা করছিল। আমি বলছিলাম চাচ্চু এখন আমার বিয়ে হয়ে গেছে। আপনি আমার সাথে আর এসব করেননা।

দয়া করে আমার সংসার ভাঙবেন না। আমি জোরে জোরে কথা বলাতে এবং এটা নতুন জায়গা হওয়ায় তিনি আমাকে ছেড়ে রুমে চলে গেলেন। এরপর আমার একটু ভয় কমলো। তিনি রুমে গিয়ে তার ব্যাগ নিয়ে বললেন আমি চলে যাচ্ছি। তবে এরপর যখন আসব তোকে নিয়েই যাব। আমি কোন কথা বললাম না। চাচ্চু (uncle) চলে গেলেন। আমার স্বামী সন্ধ্যায় বাড়ি ফিরে আমাকে বলল তোমার চাচ্চু (uncle) কোথায়? আমি বললাম তিনি চলে গেছেন। আমি এখন কি করব। কিছুই ভেবে পাচ্ছি না। কাউকে কিছু জানাতেও পারছিনা। ভাইয়া আজ আমাকে এমন পরামর্শ দেবেন যাতে আমি এই কঠিন বিপদের হাত থেকে রক্ষা পেতে পারি।

পরামর্শ–
আপু আপনি পরবর্তীতে যে কাজটি করেছেন তা সঠিক ছিল। তবে আপনার স্বামীর সাথে যদি আরো আগে পরিচয় ঘটত তাহলে হয়তো আপনার জীবনে এমনটা ঘটত না। আপনি আপনার স্বামীকে বুঝান যে, আমার বাড়িতে ফিরে গেলে আমাকে তোমার কাছ থেকে আলাদা করে নিবে আমার চাচ্চু(uncle) । আর আমাকে অন্য কোন জায়গায় বিয়ে দেবে। এমন কিছু মিথ্যে কথা বলেন। কারন নিজের সংসার বাঁচাতে এবং এমন একটি বিপদের হাত থেকে নিজেকে রক্ষা করতে এমন মিথ্যা কোন বিষয় নয়। আর এ ব্যাপারে তো আপনার স্বামীকে কিছু জানানো সম্ভব নয়। আশা করি আপনার সমস্যা খুব অচিরেই সমাধান হয়ে যাবে।

About reviewbd

Check Also

খাওয়ার পর বেল্ট ঢিলা করলেই বিপদ

দুপুরে ভাত খাওয়া ছাড়া বেশিরভাগ বাঙালির চলেই না! কিন্তু ভাত খাওয়ার পরে কয়েকটি কাজ করলে …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *