নি’শ্চয়ই এর আ’গে আ’পনি এমন কোনো গ্রাম দেখেননি, যে গ্রামের মে’য়েদের বিয়ে করতে হবে শুনলেই ছে’লেরা পা’লাতে শুরু করে। পাঠক, অনুমান করুন- ছেলেদের এমন আপ’ত্তির কারণ কী ‘’হতে পারে? না।
সেই গ্রামের মে’য়েরা যথেষ্ট সুন্দরী। গ্রা’মটিও একে’বারে গণ্ডগ্রাম নয়, যোগাযোগ ব্যবস্থা ভা’লো। গ্রা’মের মানুষ ভালো-মন্দ মিলিয়ে সমান; এমন সব গ্রামেই দেখা যায়। তা’রপরও এই গ্রামে ছে’লেরা বিয়ে করতে চায় না।
এর কারণ হলো বা’নরের উৎপাত। ক’থিত আছে- গ্রামে একটি ডা’কাত দল সক্রিয় রয়েছে। তবে তা’রা কেউ মানুষ নয়, বানর! শুনে আ’পনা’র হাসি পেতে পারে। কিন্তু সংবাদমাধ্যমগু’লো বলছে- এ কথা সত্য।
ভা’রতের ভো’জপুর জে’লার রতনপুর গ্রা’মের কথা প্রায়ই পত্রিকার পাতায় উঠে আসে এই বা’নর দলের কারণে। গ্রামে বা’সিন্দাদের তুলনায় বা’নরের সংখ্যা অনেক বেশি এবং বানরের দল গ্রা’মবাসীদের সব’সময় আত’ঙ্কের মধ্যে রাখে।
যে কোনো অনুষ্ঠান- বি’য়ে কিংবা জ’ন্ম’দিন এমনকি শ্রা’’দ্ধ অনুষ্ঠানেও বানরের দল হা’না দি’তে দেরি করে না। খা’বার ন’ষ্ট করে। ধা’ওয়া দিলে দাঁত-মুখ খি’চিয়ে উল্টো তেড়ে আসে। তুলকালাম কাণ্ড ঘটায়।
এই অনা’কাঙ্ক্ষিত প’রিস্থিতি এড়াতে পাত্রপক্ষ ওই গ্রামে যেতে চায় না। বানরের আ’ক্রম’ণের চেয়ে তারা নিরাপদে থা’কতেই বেশি পছন্দ করে। যে কারণে যখন রতনপুর গ্রাম থেকে বি’য়ের প্র’স্তাব আসে, বর এবং তার পরিবার সুস্পষ্ট এই কা’রণ দেখিয়ে ঘটককে বিদায় করে দেয়।
স্থানীয় প্রশাসন বিপর্যয় রোধে য’থাসা’ধ্য চেষ্টা করেছে। কিন্তু বানরের ক্রমবর্ধমান সংখ্যার কা’রণে তারা স’ফল হয়নি। বিশেষ করে কোনো আয়োজন উপ’লক্ষ্যে যখন ভালো-মন্দ খাবার তৈ’রি করা হয় তখন বানরগু’’লো হা’মলা চা’লায়। অতীতেও এই গ্রামে এভাবে অনেক বি’য়ের অনু’ষ্ঠান ভুণ্ডল হয়ে গেছে।