চলতি বছর এরই মধ্যে ছয়বার তাপপ্রবাহ বয়ে গেছে দেশের ওপর দিয়ে। গত ২৫ এপ্রিলে যশোরে সাত বছরের রেকর্ড ভেঙে থার্মোমিটারের পারদ উঠেছিল ৪১ দশমিক ২ ডিগ্রি। ঢাকার তাপমাত্রাও ওই সাত বছরের রেকর্ড ছাড়িয়ে ৩৯ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসে উঠেছিল। অন্য বছরের তুলনায় এই বছর গরমে ভোগান্তি ছিল বেশি। সবশেষ রবিবার দেশের সাত জেলার ওপর দিয়ে তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে।
তবে গরমে ভোগান্তি এ বছরের মতো শেষ হওয়ার ইঙ্গিত মিলেছে। রোববার (৩০ মে) সকালে আবহাওয়া অধিদপ্তরের দেয়া তথ্যমতে, ৩ জুনের (বৃহস্পতিবার) মধ্যে দক্ষিণ-পশ্চিম মৌসুমি বায়ু দেশের টেকনাফ উপকূল ছুঁতে পারে। দক্ষিণ-পশ্চিম মৌসুমি বায়ুকেই মূলত বর্ষা বলা হয়। এই মৌসুমি বায়ু সারাদেশে ছড়িয়ে গেলে বর্ষাকালের বৃষ্টি শুরু হবে। বর্ষাকালের বৃষ্টি শুরু হলে তাপপ্রবাহ সৃষ্টি হওয়ার সম্ভাবনা থাকে না।
আবহাওয়াবিদ ওমর ফারুক বলেন, ‘দক্ষিণ-পশ্চিম মৌসুমি বায়ু বাংলাদেশের উপকূলে পৌঁছতে পারে বা স্পর্শ করবে। তখন বৃষ্টিপাত বাড়বে। তিন দিনের মধ্যে হয়তো এ বায়ু উপকূল স্পর্শ করবে। ধীরে ধীরে এটা উত্তর দিকে এগোবে।
আজ সকাল ৯টা পরবর্তী ২৪ ঘণ্টার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, লঘুচাপের বর্ধিতাংশ পশ্চিমবঙ্গ ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থান করছে, এর বর্ধিতাংশ উত্তর বঙ্গোপসাগর পর্যন্ত বিস্তৃত। রংপুর ও রাজশাহী বিভাগের অনেক জায়গায়, ময়মনসিংহ, সিলেট ও খুলনা বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় এবং ঢাকা, বরিশাল ও চট্টগ্রাম বিভাগের দু-এক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি/বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে, সেই সঙ্গে দেশের উত্তরাংশে বিক্ষিপ্তভাবে মাঝারি ধরনের ভারী বর্ষণ হতে পারে।