মাত্র কয়েকদিন আগে ঢাকা-মাওয়া রোডের মুন্সীগঞ্জের বিক্রমপুরে উদ্বোধন করা হয়েছে ‘প্রজেক্ট হিলশা’। যুগোপযোগী ইন্টেরিয়রের সঙ্গে বাঙালি ভোজ, ইলিশের মতো দেখতে এই রেস্টুরেন্টকে করে তুলেছে আরও আকর্ষণীয়। ইলিশের পেটের ভেতর বসে ইলিশ খেতে রেস্টুরেন্টটিতে ছুটছেন ভোজনরসিকরা।
তবে খাবারের গলাকাটা দামের কারণে ভোজনরসিকদের অনেকেই ক্ষোভ প্রকাশ করছেন। ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন তাদের আপনজন এবং যারা রেস্টুরেন্টটিতে যেতে ইচ্ছুক ছিলেন তারাও।
রেস্টুরেন্টটিতে গেলে শুধু খাবারের গলাকাটা দাম হিসাব করলেই হবে না। এখানে গুণতে হবে অতিরিক্ত ১৫% ভ্যাট ও ১০% সার্ভিস চার্জ। মাঝারি সাইজের একটি ইলিশ মাছ খেতে হলে এখানে গুণতে হবে দুই হাজার টাকা। সঙ্গে ভ্যাট তো আছেই।
সাংবাদিক পলাশ মাহমুদ আজ তার ভেরিফায়েড ফেসবুক আইডিতে ‘প্রজেক্ট হিলশায় যাওয়ার আগে পকেটের দিকে খেয়াল রাখুন…’ শিরোনামে একটি অভিজ্ঞতার কথা শেয়ার করেছেন।
তিনি লিখেছেন, ‘আজ ছোটভাই রাজিব আহমেদ রাসেল স্বস্ত্রীক গিয়েছিল প্রজেক্ট হিলশায়। তিক্ত অভিজ্ঞতা জানাল। পদ্মাপাড়ের এই রেস্টুরেন্টে ঢাকার সবচেয়ে নামিদামি হোটেল-রেস্টুরেন্টের চেয়ে বেশি দাম রাখা হচ্ছে।
ভাতের প্লেট ১০০ টাকা! একটি বেগুণ ৫ পিচ করা প্রতি পিচের দাম ৫০ টাকা। অর্থাৎ একটি বেগুনের দাম ২৫০ টাকা!! পদ্মার ইলিশ যেটা বাইরে ৬০০-৭০০ সেটা ওখানে ১৫০০-২০০০ টাকা। তিনজনের পরিমাণ এক বাটি ডাল ২৫০ টাকা। মোট বিলের সঙ্গে ১৫% ভ্যাট দেওয়ার পরে আরো ১০% সার্ভিস চার্জ। তাহলে কী দাঁড়াইল?
প্রতিষ্ঠানটি নতুন। তারা ভালো করুক আমরা চাই। তাই বলে এভাবে গলাকাটা! ভোক্তা অধিকার অধিদপ্তর বিষয়টি গুরুত্ব দেবে আশা করি।’
তার পোস্টটির নিচে কমেন্টে তুষার হাসান নামে একজন ব্যাংকার মুসক চালানের একটি কপি শেয়ার করেছেন। এতে খাবারের চড়া দামের সত্যতা পাওয়া গেছে।
আজকের জনপ্রিয়: >> অকালে পুরুষত্ব নষ্ট হতে পারে যে ৮টি অভ্যাসে >> জীবনে কোটি টাকার মালিক হতে চাইলে যে চার ব্যবসার কোন বিকল্প নেই!