ই’য়া’বা বিক্রি করেই বনে গেছেন কো’টিপ’তি। বানিয়েছেন বিলাসবহুল বাড়ি। কিনেছেন অঢেল সম্পত্তি। কিন্তু মোস্ট ওয়ান্টেড অ’পরা’ধী হওয়ায় থাকতে পারছেন না নিজের বাড়িতে। তাই বিলাসবহুল বাড়িটি এখন খালি পড়ে আছে। এমনকি কেউ দাবিও করছেন না।
বলছি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের তা’লিকা’ভুক্ত মা’দ’ক মা’ম’লা’র প’লা’তক আ’সা’মি আবদুর রহমানের কথা। তিনি কক্সবাজারের টেকনাফ উপজেলার সদর ইউনিয়নের মৌলভী পাড়ার বজল আহমেদের ছেলে। স্ত্রী-সন্তান নিয়ে বর্তমানে চট্টগ্রামে থাকেন আবদুর রহমান।
আবদুর রহমানের ছোট ভাই একরামও একজন ই’য়া’বা’র বড় ব্যবসায়ী। তিনি ২০১৯ সালে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালের কাছে আ’ত্ম’স’ম’র্প’ণকারী ১০১ ই’য়া’বা ব্যবসায়ীদের একজন। দীর্ঘ ১৮ মাস পর জামিনে বেরিয়ে আসেন তিনি। এরপর ফের শুরু করেন ই’য়া’বা ব্য’ব’সা।
জানা গেছে, একরাম এখনো বীরদর্পে ই’য়া’বা ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছেন। তার বড় ভাই ই’য়া’বা গডফাদার আবদুর রহমান চট্টগ্রামে বসেই চালাচ্ছেন এ ব্যবসা। তবে আবদুর রহমানের গড়ে তোলা টেকনাফের মৌলভীপাড়ার বহুতলের বাড়িটি খালি পড়ে আছে।
২০১৯ সালে বিলাসবহুল এ বাড়িটি টেকনাফ থানার তৎকালীন ওসি প্রদীপ কুমার দাশ ভেঙে ফেললেও পরবর্তীতে পুনর্নির্মাণ করা হয়। আবদুর রহমানের বিরুদ্ধে টেকনাফ, উখিয়া, কক্সবাজার সদর মডেল থানা, চট্টগ্রামসহ ঢাকার বিভিন্ন থানায় ডজনেরও বেশি মা’দ’ক মা’ম’লা রয়েছে।
এ ব্যাপারে ই’য়া’বা গ’ডপা’দা’র আবদুর রহমানের বাবা বজল আহমেদ বলেন, আমার ছেলেরা নি’র্দো’ষ। এলাকার একটি প্রভাবশালী মহল জমি সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে ছেলেদের বিরুদ্ধে অপপ্রচারে লিপ্ত রয়েছে। আর যেসব মা’ম’লা হয়েছে সব মি’থ্যা ও উদ্দেশ্য প্রণোদিত। একের পর এক মি’থ্যা মা’ম’লা’য় অভিযুক্ত হওয়ায় আমার ছেলেরা এলাকা ছাড়তে বাধ্য হয়েছে।
টেকনাফ থানার ওসি মোহাম্মদ হাফিজুর রহমান জানান, আবদুর রহমান একজন তালিকাভুক্ত আসামি। তাকে হন্য হয়ে খুঁজছে পু’লি’শ। তার বি’রু’দ্ধে টেকনাফ থা’না’য় একাধিক মা’ম’লা রয়েছে।
তিনি আরো বলেন, আবদুর রহমানের মতো কমপক্ষে অর্ধশতাধিক ই’য়া’বা ব্যবসায়ীরা বাড়িঘর ছেড়ে পালিয়ে বেড়াচ্ছেন। তাদের ধরতে নিয়মিত পুলিশি অভিযান অব্যাহত রয়েছে। শুধু তাই নয়, তাদের সহযোগীদেরও গতিবিধির ওপর নজর রাখছে পুলিশ। এরই মধ্যে অনেকে ধরা পড়েছেন। এছাড়া সীমান্তে ই’য়া’বা পা’চা’রে জ’ড়ি’ত দুই শতাধিক ই’য়া’বা ব্যবসায়ীর তালিকা করা হয়েছে।