কুষ্টিয়ার কুমারখালীতে বোনের বাড়িতে জানালার পর্দা টাঙাতে গিয়ে শ্রীঘরে গেলেন এক ইমাম। শুক্রবার (১৮ জুন) রাতে উপজেলার যদুবয়রা ইউনিয়নের গোবিন্দপুর গ্রামে এঘটনা ঘটনা।
ওই ব্যক্তির নাম মোঃ তোফাজ্জেল হোসেন (৩৭)। তিনি গোবিন্দপুর পূর্বপাড়া জামে মসজিদের ইমাম এবং খোকসা উপজেলার ওসমানপুর গ্রামের বাবর আলীর ছেলে।
এলাকাবাসী জানায়, ইমাম তোফাজ্জেল হোসেন ১০ থেকে ১৫ বছর এলাকার এক মসজিদে ইমামতির দায়িত্ব পালন করে আসছে। মৃত অবসর প্রাপ্ত এক পুলিশ সদস্য দীর্ঘদিন ওই মসজিদ কমিটির পদে ছিলেন। সুবাদে পুলিশ সদস্যের পরিবারে নিয়মিত যাতায়াত করতেন ইমাম।
এক পর্যায়ে স্থানীয়রা মনে করেন পুলিশের ডিভোর্স প্রাপ্ত মেয়ের সাথে তার প্রেমের সম্পর্ক চলছে । এনিয়ে এলাকায় কানাঘুষা চলছিল। আজ (শুক্রবার) বাদ মাগরিব ইমাম সাহেব ওই পুলিশের বাড়িতে আসলে স্থানীয়রা রুমে আটক করে।
এরপর ওই পুলিশ সদস্যের ভাই বাবু ও স্থানীয়রা ডিভোর্স প্রাপ্ত মেয়ের সাথে ইমামের বিয়ের চেষ্টা করেন। ইমাম সাহেব বিয়ে করতে রাজী না হওয়ায় তাকে পুলিশে দেওয়া হয়।
এবিষয়ে ইমাম তোফাজ্জেল হোসেন বলেন, ১৭ বছর যাবত পূর্বপাড়া জামে মসজিদে ইমামতি করছি। পুলিশ সদস্য সেই মসজিদ কমিটির সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। পুলিশ জীবিত থাকাকালীন থেকে তার বাড়িতে যাতায়াত। বর্তমানেও যাতায়াত চলমান রয়েছে। বাড়ির বিভিন্ন কাজে আমাকে ডাকা হয়। আমি নিয়মিত তাদের পরিবারের বিভিন্ন কাজ করে আসছি।
তিনি আরো বলেন, আজ (শুক্রবার) পুলিশের মেয়ে মাগরিব নামাজের আগে ফোনে জানালার পর্দা লাগানোর কথা বলেন। আমি বাদ মাগরিব বাড়িতে এসে জানালার পর্দা লাগানোর কাজ করেছিলাম। সেখানে ওই মেয়ের দুই সন্তান ও চাচী (পুলিশের স্ত্রী) উপস্থিত ছিলেন। এসময় এলাকাবাসী রুমে আটকে দেয় আমাকে।
পুলিশের ওই মেয়ে বলেন, বাবা জীবিত থাকাকালীন থেকেই ইমাম সাহেব আমাদের বাড়িতে যাওয়া আসা করে। আমাদের ভাই – বোনের সম্পর্ক। আজ আমি জানালার পর্দা লাগানোর জন্য তাকে ফোন করেছিলাম। ভাইয়া বাদ মাগরিব এসে কাজ করছিল। সেখানে আমার দুই সন্তান ও মা ছিল।
তিনি আরো বলেন, জানালার পর্দা লাগানোর সময় স্থানীয় কিছু ছেলে এসে বলেন হুজুরের সাথে আমার খারাপ সম্পর্ক আছে। এই বলে আমাদের রুমে আটক করে। পরে বিয়ের কথা বলে। হুজুর তাঁর শরীর স্পর্শ করেনি। হুজুরের বিরুদ্ধ তাঁর কোন অভিযোগও নেই বলেও জানায় পুলিশ কন্যা।
কুমারখালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কামরুজ্জামান তালুকদার বলেন, এঘটনায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের ১০ ধারায় একটি মামলা হয়েছে।মামলা নং ২৩। আসামীকেকে আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে।