বিয়ের দ্বিতীয় দিনেই ৬০ বছরের চেয়ারম্যান শাহিন হাওলাদারকে তালাক দিলো কিশোরী। পটুয়াখালীর বাউফলে প্রেমঘটিত সালিশ বৈঠকে মেয়েকে দেখে পছন্দ হওয়ার পর তাৎক্ষণিক বিয়ে করা চেয়ারম্যানকে তালাক দিয়ে বাবার বাড়ি ফিরে গেছে কিশোরী।
শনিবার (২৬ জুন) সন্ধ্যায় তাদের তালাক সম্পন্ন হয় বলে মেয়ের বাবা নিশ্চিত করেছেন।এর আগে, গত শুক্রবার (২৫ জুন) দুপুরে কনকদিয়া ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান শাহিন হাওলাদার ৫ লাখ টাকা দেন মোহরে ওই কিশোরীকে বিয়ে করেছিলেন।
এ বিষয়ে কিশোরীর বাবা জানান, তার মেয়ে এখন তাদের বাড়িতেই আছেন।স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, একই ইউনিয়নে এক যুবকের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক ছিল ওই কিশোরীর। বৃহস্পতিবার (২৪ জুন) রাতে তারা দুজন পালিয়ে যায়। বিষয়টি কিশোরীর বাবা কনকদিয়ার ইউপি চেয়ারম্যান শাহিন হাওলাদারকে জানান। এরপর চেয়ারম্যান শাহিন হাওলাদার আনুষ্ঠানিকভাবে বিয়ে দেয়ার কথা বলে শুক্রবার কনকদিয়া ইউপি কার্যালয়ে ছেলে ও মেয়ের দুই পরিবারকে যেতে বলেন।
সেই অনুযায়ী শুক্রবার সকাল ৯টার দিকে দুই পরিবারের সদস্যরা ইউপি কার্যালয়ে যান। সেখানে মেয়েটিকে দেখে পছন্দ হয়ে যায় চেয়ারম্যানের। তিনি মেয়েটিকে বিয়ে করার আগ্রহ দেখান। শুক্রবার দুপর ১টায় স্থানীয় কাজি মো. আবু সাদেককে বাড়িতে ডেকে পাঁচ লাখ টাকা দেনমোহরে ওই কিশোরীকে বিয়ে করেন চেয়ারম্যান শাহিন হাওলাদার।
বিয়ের পর তা জানাজানি হলে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ব্যাপক ভাইরাল হয়। শনিবার ওই একই কাজীর মাধ্যমেই তালাক সম্পন্ন হয়।ইউনিয়ন চেয়ারম্যান শাহিন হাওলাদার জানান, ওই মেয়ে তাকে স্বামী হিসেবে মেনে না নেয়ায় এমন সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। বর্তমানে মেয়েটিকে তার বাবার সঙ্গে তাদের বাড়িতে পাঠানো হয়েছে।