টনসিলের য’ন্ত্রণায় ছোট-বড় উভ’য়ই ভুগে থাকেন। এই স’মস্যা হলে গলায় ব্য’থা হয়। এমনকি ঢোক গিলতেও খুব কষ্ট হয়। আর এই ব্য’থার কারণে খাবার খাওয়া ক’ঠিন হয়ে প’ড়ে। মূলত টনসিলে সংক্র’মণ ের কারণেই এই ব্য’থা হয়ে থাকে।
জিহ্বার পেছনে ও গলার দুই পাশে গোলাকার পিণ্ডের মতো যা দেখা যায় তা হলো টনসিল। টনসিল দে’খতে মাংসপিণ্ডের মতো মনে হলেও এটি মূলত এক ধ’রনের টিস্যু বা কোষ। টনসিল মুখ, গলা, নাক কিংবা সাইনাস হয়ে রো’গজী’বাণু অন্ত্রে বা পে’টে ঢু’কতে বা’ধা দিয়ে থাকে। ভা’ইরাসের সংক্র’মণ ের কারণে টনসিলের ব্য’থা হয়ে থাকে। সর্দি-কাশির জন্য দায়ী ভা’ইরাসগুলো টনসিলের এ সংক্র’মণ ের জন্যও দায়ী।
তবে টনসিলের য’ন্ত্রণা থেকে মু’ক্তি পেতে ঘরোয়া উপায় অবলম্বন করাই শ্রেয়। এতে খুব দ্রুত আপনি এই য’ন্ত্রণা থেকে মু’ক্তি পেয়ে যাবেন। চলুন জে’নে নেয়া যাক টনসিল প্র’তিরো’ধের ঘরোয়া উপায়-
লেবুর রসের জাদু
লেবু সংক্র’মণ রো’ধে খুবই কা’র্যকরী। এক গ্লাস সামান্য উ’ষ্ণ পানিতে ১ চামচ লেবুর রস, ১ চামচ মধু, আধা চামচ লবণ ভালো করে মিশিয়ে নিন। গলাব্য’থা ভালো না হওয়া পর্যন্ত খেতে থাকুন। দেখবেন খুব দ্রুত ফলাফল পেয়ে যাবেন। টনসিল দূ’র ক’রতে লেবু খুবই উপকারী।
সবুজ চা ও মধু
এক কাপ গরম পানিতে আধা চামচ সবুজ চা পাতা আর এক চামচ মধু দিয়ে ১০ মিনিট ফুটিয়ে নিন। এবার ধীরে ধীরে চু’মুক দিয়ে ওই চা পান করুন। সবুজ চায়ে রয়েছে অ্যান্টি অ’ক্সিডেন্ট, যা ক্ষ’তিকর জী’বাণুকে ধ্বং’স করে। দিনে ৩ থেকে ৪ কাপ এই মধু-চা খেতে পারলে উপকার পাবেন।
হলুদ দুধ
এক কাপ গরম দুধে এক চিমটি হলুদ মিশিয়ে খেতে পারেন। ছাগলের দুধ টনসিলের ব্য’থা দূ’র ক’রতে খুব ভালো কাজ করে। কারণ ছাগলের দুধে আছে অ্যা’ন্টিবায়োটিক উপাদান। ছাগলের দুধ না পেলে গরুর দুধে হলুদ মি’শিয়ে সামান্য গরম করে খেলেও উপকার পাবেন। হলুদ অ্যা’ন্টি ই’নফ্লামেন্টরি, অ্যা’ন্টিবায়োটিক ও অ্যা’ন্টিঅক্সিডেন্টসমৃদ্ধ একটি উপাদান, যা গলাব্য’থা ও টনসিলের সংক্র’মণ দূ’র করে।