মুন্সিগঞ্জের শিমুলিয়া ৩নং ফেরিঘাট থেকে বাংলাবাজারের উদ্দেশে ছেড়ে যেতে প্রস্তুত শেষ ফেরি ‘রানীগঞ্জ’। পন্টুনে থাকা সব যাত্রীরা উঠে পড়েছেন ফেরিতে। এসময় পন্টুনের অ্যাপ্রোচ সড়কে দেখা যায় মধ্যবয়স্ক এক ব্যক্তিকে। তার বাম হাতে রয়েছে ব্যাগ আর ডান হাতে কোলে নিয়ে আছেন অ’সুস্থ মাকে।
পরে অন্য যাত্রীদের সহায়তায় কোনোমতে মাকে নিয়ে ওঠেন ফেরিতে। সেখানে দেখা দেয় আরেক বিপত্তি। দাঁড়িয়ে থাকতে পারেন না অ’সুস্থ মা। মানুষের চাপে ফেরিতে নেই তাকে শুইয়ে দেয়ার জায়গাও। উপায় না পেয়ে মাকে কোলে নিয়েই রাখেন ছে’লে। এসময় ছে’লের চোখে ছিল অ’সহায়ত্বের ছাপ আর মায়ের মুখে ফুটে ওঠে নির্ভরতার ছায়া। এভাবেই ফেরিতে পদ্মা পাড়ি দিতে দেখা যায় মা ও ছে’লেকে।
রোববার (২৭ জুন) সকাল সাড়ে ৯টায় লকডাউনকে কেন্দ্র করে ঘরমুখো মানুষদের ভিড়ে এমন চিত্র দেখা যায় শিমুলিয়া ৩নং ফেরিঘাটে।
ফেরি ছেড়ে দেয়ার আগে মধ্য বয়স্ক ছে’লে বলেন, ‘জন্মের পর থেকে আমাকে পেলে বড় করেছেন মা। মা’র জন্যই পৃথিবীতে এসেছি। মা অ’সুস্থ হওয়ায় হাঁটতে পারেন না। গ্রামে নিয়ে যাচ্ছি। দোয়া করবেন ভাই।’
এদিকে রোববার ভোর থেকে লকডাউনের নিষে’ধাজ্ঞা উপেক্ষা করে দক্ষিণবঙ্গগামী মানুষের ঢল নামে মুন্সিগঞ্জের শিমুলিয়া ঘাটে। এছাড়া করো’না সংক্রমণ রোধে বৃহস্পতিবার (১ জুলাই) থেকে দেশব্যাপী সাতদিনের বিধিনিষে’ধকে কেন্দ্র করে বুধবারও (৩০ জুন) মুন্সিগঞ্জের শিমুলিয়াঘাটে ঘরমুখো মানুষের চাপ দেখা যায়