কঠোর লকডাউনে কর্মহীন হয়ে পড়ায় ২২ দিন বয়সী শিশু সন্তানের দুধ কিনতে না পেরে লোকালয়ে কান্নায় ভেঙে পড়েছেন এক বাবা। যশোরের শার্শা উপজেলার নিজামপুর বাজারে এ চিত্র দেখা যায়।
শাহআলম নামের ওই ব্যক্তি সিএনজিচালিত অটোরিকশার চালক। লকডাউনে গণপরিবহন বন্ধ থাকায় তার আয়ের পথটি বন্ধ হয়ে যায়।
বুধবার দুপুরের দিকে উপজেলার নিজামপুর বাজারে শাহআলম লোকালয়ে অনবরত কান্না করতে করতে বলেন, আমি একজন সিএনজিচালক। আমার পরিবারে আমিই আয়ের একমাত্র ব্যক্তি। আমার চার সন্তান ও স্ত্রীকে নিয়ে ছয় সদস্যের সংসার। দীর্ঘদিন আয়ের পথ বন্ধ থাকলেও থেমে নেই সংসারের খরচ। সরকারের ডাকা লকডাউনে গত ২৩ জুন থেকে সড়কে গাড়ি চালানো নিষেধ রয়েছে। এরপর থেকে আর গাড়ি চালাতে পারিনি।
তিনি বলেন, এখন আমি সংসারের ব্যয় চালাতে ব্যর্থ হয়ে পড়েছি। কয়েকদিন অনেকের কাছ থেকে ধার করে বাজার করলেও এখন আর তাও পাচ্ছি না। ঘরে আমার ২২ দিন বয়সের একটা সন্তান রয়েছে। যাকে দুইদিন পর পর ২৫০ টাকা দিয়ে দুধ কিনে খাওয়াতে হয়। কিন্তু বর্তমান আমার আয় না থাকায় আমি ব্যর্থ। অনেকের কাছে টাকা ধার চেয়েছি, কেউ আমাকে সহযোগিতা করেনি। ইউপি মেম্বার ও চেয়ারম্যানদের পক্ষ থেকে আমাকে কোনও সহযোগিতা করা হয়নি। চাইলে দেবে বলে আশ্বাস দেওয়া হয়েছে অনেকবার, কিন্তু ফল পাইনি।
অন্যদিকে স্থানীয় ইউপি সদস্য নজরুল ইসলাম বলেন, ঘটনাটি শোনার পর তাকে ডেকে বাচ্চার দুধ কেনার জন্য কিছু অর্থ দিয়েছি। পরবর্তী সময়ে তাকে আরও সহযোগিতা করা হবে।
বিষয়টি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মীর আলিফ রেজাকে জানালে তিনি ওই ব্যক্তির মোবাইল নম্বর ম্যাসেজ করে দিতে বলেন। তিনি বলেন, আমি তার সঙ্গে যোগাযোগ করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেব।