চলমান লকডাউন শিথিল করার সিন্ধান্ত নিয়েছে সরকার। ১৫ থেকে ২৩ জুলাই পর্যন্ত লকডাউন শিথিল করে শিগগিরই প্রজ্ঞাপন জারি করবে বলে জানিয়েছে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ।এ সময়ে শর্তসাপেক্ষে চলবে গণপরিহণ।
কুরবানি ঈদে মানুষের চলাচল ও পশুর হাটে কেনাবেচার বিবেচনায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। তবে ঈদের পর ফের ১৪ দিনের জন্য সর্বাত্মক লকডাউন দেওয়া হবে।
প্রধানমন্ত্রী কার্যালয় থেকে এ বিষয়ক নথি অনুমোদন হয়ে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগে এসেছে। ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার অনুমতি মিললেই যেকোনো সময় জারি হবে প্রজ্ঞাপন।
সূত্রটি জানায়, ঈদ উপলক্ষে শিথিল লকডাউনের আট দিন স্বাস্থ্যবিধি মেনে এক আসন ফাঁকা রেখে চলবে সব গণপরিবহণ। খুলে দেওয়া হবে দোকানপাট, শপিং মল। এ সময়ে সরকারি অফিস ভার্চুয়ালি খোলা থাকলেও বন্ধ থাকবে বেসরকারি অফিস।
১৫ জুলাই ভোর ৬টা থেকে ২৩ জুলাই ভোর ৬টা পর্যন্ত লকডাউন শিথিলের আদেশ কার্যকর থাকবে। ঈদের পর আবারও দুই সপ্তাহের লকডাউনে যাবে দেশ।
মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের কর্মকর্তারা বলছেন, ঈদে ঘরমুখো মানুষের চাপ সামাল দিয়ে যাত্রা নির্বিঘ্ন করতেই এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
এদিকে ঈদুল আজহায় লঞ্চ চলাচল করবে কি না- এ ব্যাপারে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ সিদ্ধান্ত দেবে বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহণ করপোরেশন (বিআইডব্লিউটিএ) চেয়ারম্যান কমডোর গোলাম সাদেক।
সোমবার দুপুরে রাজবাড়ীর দৌলতদিয়া ফেরিঘাট ও লঞ্চঘাট পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা জানান।
বিআইডব্লিউটিএ চেয়ারম্যান বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে স্বাস্থ্যবিধি বিষয়ক একটি কমিটি রয়েছে। তারা লঞ্চ চলাচলের ব্যাপারে সিদ্ধান্ত দিতে পারেন। যেহেতু এখন দেশে করোনার মহামারি চলছে, সেহেতু ঈদে লঞ্চ চলবে কি না- তা মন্ত্রিপরিষদই সিদ্ধান্ত নেবে।