রাজধানীর আফতাবনগর পশুরহাটে দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে পশু নিয়ে আসছেন ব্যাপারীরা। এই হাটে আকর্ষণের কেন্দ্রবিন্দু ছিল ‘গাজীপুরের ডন’ নামের প্রায় ৪০ মণ ওজনের গরু। এটি মূলত ফ্রিজিয়ান জাতের একটি ষাঁড়। ডনের দাম হাঁকা হয়েছিল ২৫ লাখ টাকা। রোববার (১৮ জুলাই) এর গরুর দাম উঠেছিল ১৭ লাখ পর্যন্ত। তারপরও বিক্রি করেননি গরুর মালিক গাজীপুরের কাপাসিয়ার বাসিন্দা এখলাস উদ্দিন। কিন্তু এখন পর্যন্ত গরুটি বিক্রি না হওয়ায় মন খারাপ এখলাসের।
সোমবার (১৯ জুলাই) দুপুরে তিনি গণমাধ্যমকে বলেন, ‘কাল গরুটি ছেড়ে দিলে ভালো করতাম। আজ যেসব ক্রেতারা এসেছে, তারা দাম আরো কম বলছে। মনটা খুব খারাপ।’
তিনি জানান, অস্ট্রেলিয়ান জাতের গরুটির বয়স প্রায় সাড়ে তিন বছর। খামারি এখলাস উদ্দিনের দাবি, তার এ গরুটি এবারের কোরবানির বাজারে দেশের সবচেয়ে বড় গরু। যার দৈর্ঘ্য সাড়ে ১০ ফুট। বুক চাওড়া ৯ ফুট ২ ইঞ্চি।
এখলাস আরও জানান, প্রায় আড়াই মাস আগে গাজীপুরের প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তারা তার গরুটি দেখতে গিয়েছিলেন। তখন তারা জানিয়েছিলেন- গরুটির অন্তত এক হাজার ৪০০ কেজি মাংস হবে। এরপর থেকে প্রতিদিন দুই থেকে আড়াই কেজি হারে মাংস বেড়েছে গরুটির শরীরে।
তিনি বলেন, ‘দুই বছর আগে একটি এনজিও থেকে ঋণ নিয়ে এক লাখ টাকায় গরুটি কিনেছিলাম। এরপর থেকে আমি গরুটি পালছি। আমার খামারে আর কোনো গরু নেই।’
গাজীপুরের এই খামারি আরও বলেন, ‘দুই বছর চার মাস পালনে খাবার দিতে অনেক টাকা খরচ হয়েছে, শ্রমও অনেক দিতে হয়েছে। শেষ কয়েক মাস প্রতিদিন এক হাজার থেকে ১২শ টাকার খাবার খেয়েছে। ভালো দামে বিক্রি করতে পারলে লাভবান হব। আর বিক্রি না হলে কঠিন লোকসানে পড়তে হবে। এ কারণে কিছুটা কমে হলেও গরু বিক্রি করতে চাই।’