সাধারণত সব ক”রো”না ভা”ই’রাস আক্রান্তের ক্ষেত্রে ফুসফুস আক্রান্ত হয় না। ১০ শতাংশ আক্রান্তদের ফুসফুস আক্রান্ত হয়। এই ফুসফুস সতেজ ও বেশি সক্ষম থাকলে করোনা ভাইরাস ফুসফুস আক্রান্ত করতে পারে না।
ফুসফুস ভালো রাখার জন্য নিঃশ্বাস প্রশ্বাসের ব্যায়াম এর বিকল্প নেই। দুঃচিন্তা ও উত্তেজনা ফুসফুসের ক্ষতি করে। কাঁধ ও ঘর বিশ্রাম দিন।
মুখ বন্ধ রেখে নাক দিয়ে শ্বাস নিয়ে ৫ সেকেন্ড ধরে রাখেন তারপর মুখ দিয়ে নিঃশ্বাস নিবেন।
এরপরে মুখ দিয়ে শ্বাস নিয়ে ৫ সেকেন্ড ধরে রেখে নাক দিয়ে নিঃশ্বাস নিন।
এভাবে দৈনিক ১০ বার করুন। বেলুন ফুলাতে পারেন দৈনিক ৫ টা।
অন্তত দিনে একবার জোরে হাসুন , দৈনিক হাঁটুন ২০-৩০ মিনিট। ফুসফুসের রক্ত সঞ্চালন ঠিক থাকবে। দিনের বদলে রাতের ঘুমে ফুসফুস সতেজ থাকবে।
দৈনিক পর্যাপ্ত ঘুম ( ৭-৮ ঘন্টা ) ফুসুফুস সক্ষম থাকবে। আমাদের দুইটা ফুসফুসের কিছুটা যদি আগে থেকেই কর্মক্ষম থাকে তাহলে করোনা ভাইরাস আক্রান্ত হলে আরো বেশি ফুসফুস কার্যক্ষমতা হারিয়ে ফেলে।
এছাড়া রেস্পিরোমিটার দিয়ে নিঃশ্বাস প্রশ্বাসের ব্যায়াম প্রতিনিয়ত করা যায় তাহলে ফুসফুসের ক্যাপাসিটি বাড়ে।
মনে রাখবেন একটা হাড় ভেঙে গেলে প্লাস্টার করে সুস্থ হওয়ার পরে আগের মতো যেমন শক্তি পাওয়া যায় না, তেমনি ফুসফুস একবার আক্রান্ত হলে সুস্থ হয়ে গেলেও আগের মতো সতেজ থাকে না।
লেখক: জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ, প্রধান উদ্যোক্তা ও নির্বাহী চট্টগ্রাম ফিল্ড হাসপাতাল- হোম হাসপাতাল, উপ -পরিচালক চট্টগ্রাম মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়।