গতকাল দুপুর থেকেই ফেসবুকে ভাইরাল হয় নতুন বিভাগ হিসেবে কুমিল্লার নাম ঘোষণার খবর। এক স্ট্যাটাস থেকে হাজার স্ট্যাটাসে ছড়িয়ে পড়ে নতুন বিভাগের গুজব। এতে একদল কুমিল্লাবাসীকে অভিনন্দন জানাতে থাকে, আরেকদল নোয়াখালী না হয়ে কুমিল্লা কেন বিভাগ হলো সেই ট্রল করতে থাকে।
এমনকি স্ট্যাটাসদাতারা খবরটাকে বিশ্বাসযোগ্য করে তুলতে বিষয়টি যে মন্ত্রিসভায় সোমবার অনুমোদন পেয়েছে সেটি যুক্ত করে দেন স্ট্যাটাসে। যদিও বিষয়টির একেবারেই সত্যতা নেই বলে জানান মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম। তিনি বলেন, ‘এ রকম কোনো বিষয় আজকের অ্যাজেন্ডাতেই ছিল না।’
নানা ফেসবুক স্ট্যাটাসে দেখা যায়- বাংলাদেশের নবম বিভাগীয় শহর হিসেবে স্বীকৃতি পাওয়ায় কুমিল্লাবাসীকে অভিনন্দন। স্ট্যাটাসদাতাদের দাবি, কুমিল্লা (কুমিল্লা বিভাগ), চাঁদপুর, ফেনী, নোয়াখালী, লক্ষ্মীপুর, বি-বাড়িয়া জেলা মোট ছয়টি জেলা নিয়ে তৈরি হলো এই নতুন বিভাগ।
তবে কুমিল্লাকে বিভাগ করার খবরটি গুজব হলেও সোমবার (২৬ জুলাই) প্রশাসনিক পুনর্বিন্যাসসংক্রান্ত জাতীয় বাস্তবায়ন কমিটির (নিকার) ভার্চুয়াল সভায় মাদারীপুরের ডাসার, কক্সবাজারে ঈদগাঁও ও সুনামগঞ্জের মধ্যনগরকে উপজেলায় উন্নীত করা হয়। আর দক্ষিণ সুনামগঞ্জ উপজেলার নাম পরিবর্তন করে রাখা হয়েছে শান্তিগঞ্জ।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন। বৈঠক শেষে সচিবালয়ে ব্রিফিংয়ে মন্ত্রিপরিষদসচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম জানান, তিনটিই প্রত্যন্ত এলাকা। বিশেষ কনসিডারেশনে এগুলোকে উপজেলায় উন্নীত করা হয়েছে।
সভায় ঢাকা জেলার দোহার পৌরসভার দুর্গম এলাকাকে বাদ দিয়ে এবং কিছু নতুন এলাকা সংযুক্ত করা হয়েছে। এ ছাড়া শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়কে সিলেট সিটি করপোরেশন এলাকার মধ্যে নিয়ে আসার সিদ্ধান্ত হয়েছে।
প্রসংগত, কুমিল্লা বিভাগ হওয়ার আলোচনা শুরু হয় ২০১৫ সাল থেকে। ২০১৫ সালের ২৬ জানুয়ারি মন্ত্রিসভার বৈঠকে নতুন দুটি বিভাগের অনুমোদনের প্রস্তাব করা হয়েছিল। যার একটি ছিল ‘ফরিদপুর’, যা ঢাকা বিভাগের পাঁচটি জেলা নিয়ে গঠিত হওয়ার কথা। প্রস্তাবনার অন্য বিভাগটি ছিল ‘কুমিল্লা’, যা চট্টগ্রাম বিভাগের কুমিল্লা, ব্রাহ্মণবাড়িয়া, চাঁদপুর, ফেনী, লক্ষ্মীপুর ও নোয়াখালী – এই ছয়টি জেলা নিয়ে গঠিত হওয়ার কথা।