চলতি বছরও দেশে চলছে কঠোর লগডাউন। চলবে আগামী ৫ আগস্ট পর্যন্ত। এবার লকাডাউনে সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানসহ শিল্প-কারখানা বন্ধ রয়েছে। তবে শিল্প কারখানা খুলে দিতে ব্যবসায়ীদের পক্ষ থেকে দফায় দফায় দাবি জানানো হয়।
তাদের দাবির প্রেক্ষিতে সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে আগামী ১ আগস্ট (রবিবার) থেকে রপ্তানিমুখী শিল্প-কলকারখানা খুলে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। আজ শুক্রবার (৩০ জুলাই) বিকেলে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের উপসচিব রেজাউল ইসলাম স্বাক্ষরিত এক প্রজ্ঞাপনে রপ্তানিমুখী শিল্প খুলে দেওয়ার সিদ্ধান্ত জানায় সরকার।
উক্ত এ প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় আগামী ১ আগস্ট সকাল ৬টা থেকে রপ্তানিমুখী সকল শিল্প ও কল-কারখানা আরোপিত বিধি-নিষেধের আওতা বহির্ভূত রাখা হলো।
এর আগে গত ১৩ জুলাই মন্ত্রিপরিষধ বিভাগের উপসচিব রেজাউল ইসলামের স্বাক্ষরিত প্রজ্ঞাপনে ঈদের একদিন পর অর্থাৎ ২৩ জুলাই থেকে ৫ আগস্ট পর্যন্ত ১৪ দিনের টানা লকডাউনের ঘোষণা দিয়েছিল সরকার। ঈদের পর শুরু হওয়া লকডাউনের মধ্যে ব্যবসায়ীরা কয়েক দফা সরকারের উচ্চ পর্যায়ে যোগাযোগ করে রপ্তানিমুখী শিল্প কলকারাখানাকে লকডাউনের বাইরে রাখার আবেদন জানায়। কিন্তু সরকার বরবরই কঠোর অবস্থানের কথা জানিয়ে দিয়েছে।
সার্বিকভাবে লকডাউন পরিস্থিতি মূল্যায়নে গত রবিবার (২২ জুলাই) স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামালের নেতৃত্বে সরকারের উচ্চ পর্যায়ের একটি বৈঠক মন্ত্রিপরিষদ বিভাগে অনুষ্ঠিত হয়। সেই বৈঠকেও ৫ আগস্ট পর্যন্ত লকডাউন চালিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত পুর্নব্যক্ত করেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী।
ওই বৈঠকে স্বাস্থ্যমন্ত্রী, আইসিটি প্রতিমন্ত্রী, মন্ত্রিপরিষদ সচিব, সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের সচিব, উচ্চ পর্যায়ের সেনা, নৌ ও বিমান বাহিনী কর্মকর্তা, পুলিশের আইজিপি, বিজিবির ডিজিসহ সরকারের সংশ্লিষ্ট দপ্তর-সংস্থার শীর্ষ স্থানীয় কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
সরকারের পক্ষ থেকে বার বার কঠোর অবস্থানের কথা প্রকাশ করলেও শেষ পর্যন্ত ব্যবসায়ীদের দাবি মেনে নিল সরকার। এর কারণ জানতে চাইলে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের উচ্চ পর্যায়ের সূত্র জানান, আমদানি-রপ্তানি সংক্রান্ত নানাবিধ যৌক্তিক কারণে এ সিদ্ধান্ত নিতে হয়েছে। তবে অন্য ক্ষেত্রে বিধি-নিষেধের কঠোরতা বজায় থাকবে।
উল্লেখ্য, সার্বিক চলাচলে জরুরি সেবা সার্ভিস আগের মতোই চালু থাকবে। অনেকেই বলছেন,পোশাক কারখানা খুলতে হলে স্বাস্থ্য নির্দেশিকা মেনে তারপর খুলতে হবে।