ঝিনাইদহ পৌরসভার ৬ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা আনোয়ার হোসেন সম্প্রতি করোনার টিকা নিতে রেজিস্ট্রেশন করতে চান। বারবার চেষ্টার পরও সার্ভারে ঢুকতে ব্যর্থ হন তিনি। বলা হয়, তার জাতীয় পরিচয়পত্র সম্পর্কে তথ্য নেই। তবে আনোয়ারের আছে স্মার্ট কার্ড। তা নিয়ে সম্প্রতি তিনি যোগাযোগ করেন স্থানীয় নির্বাচন অফিসে। সেখান থেকে জানানো হয়, মৃতের তালিকায় নাম উঠেছে আনোয়ারের।
নির্বাচন অফিসের ভুলেই আনোয়ার হোসেনের নাম মৃতের তালিকায় উঠেছে বলে জানিয়েছেন স্থানীয় নির্বাচন কর্মকর্তা। ঝিনাইদহের নির্বাচন অফিসার মশিউর রহমান বলেন, অনাকাঙ্ক্ষিত ভুলের কারণে তার বর্তমান অবস্থা মৃত দেখানো হয়েছে। এই বিষয়টি দ্রুত সমাধান করা হবে।
আনোয়ার হোসেনের নাম মৃতের তালিকায় উঠার বিষয়টি শুনে হতবাক ঝিনাইদহ পৌরসভার মেয়র সাইদুল করিম মিন্টু। মেয়র বলেন, আমার পৌরসভার রেকর্ডে তিনি মৃত নন জীবিতই আছেন। তার জন্ম সনদও আমি খুঁজে বের করেছি। আমাদের রেকর্ড অনুযায়ী তাকে কেউ মৃত বলার সুযোগ নেই।
ঘটনার পর থেকেই সামাজিকভাবে নানা বিব্রতকর পরিস্থিতির মধ্য দিয়ে যাচ্ছেন আনোয়ার। তিনি দ্রুত এর সমাধান চান। ভুক্তভোগী আনোয়ার হোসেন বলেন, আমি একজন সুস্থ মানুষ। এই সমস্যায় পড়ে আমি এখন সামাজিকভাবে নানা জায়গায় হেয় প্রতিপন্ন হচ্ছি। আমার তিনটা কন্যা সন্তান। আমি কোনো দাপ্তরিক কাজ করতে পারছি না। একটা অনিশ্চিত ভবিষ্যতের দিকে আমি এগিয়ে যাচ্ছি।
এরই মধ্যে জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা বরাবর আবেদন করেছেন আনোয়ার। আশ্বাস পেয়েছেন, শিগগিরই মৃত থেকে জীবিতের তালিকায় নাম উঠবে তার।