সপ্তাহে কমপক্ষে দুই দিন মুরগি ছাড়া কারও চলে না। এছাড়াও তাড়াতাড়ি রান্নার বা চিকেন ফ্রাইয়ের জন্য জন্য ব্রয়লার মুরগি ছাড়া অন্য কোনও উপায় নেই। তবে এই মুরগি কি আসলেই আমাদের পক্ষে ভাল?
একাধিক গবেষণায় দেখা গেছে যে ব্রয়লার মুরগি মানব দেহের পক্ষে ভাল নয়।
সম্প্রতি লন্ডনের ব্যুরো অফ ইনভেস্টিগেটিভ জার্নালিজিম-এর চালানো এক গবেষণায় দেখা গেছে যে, পোল্ট্রি খামারে কোলিস্টিন নামের একটি অ্যান্টিবায়োটিক মুরগির খাবারের সঙ্গে উচ্চ মাত্রায় ব্যবহার করা হচ্ছে। ফলে বাজারের প্রায় সব মুরগির মাংসেই কম বেশি কোলিস্টিনের উপস্থিত রয়েছে।
অ্যান্টিবায়োটিকের ক্ষেত্রে ওয়ার্ল্ড হেল্থ অর্গানাইজেশন যে বিধি-নিষেধ দিয়েছে তা কোনও ভাবেই মানা হচ্ছে না।
ফলস্বরূপ, বেশিরভাগ অ্যান্টিবায়োটিকই সুপারবাগ বা বিশেষ ব্যাকটেরিয়ার সংক্রমণ রোধ করতে ব্যর্থ হচ্ছে। অর্থাৎ মুরগির মাংস খেলে অ্যান্টিবায়োটিক ওষুধে কোনও কাজ হবে না।
ফলে কোনও কারণে অসুস্থ হলে সেরে ওঠা খুব মুশকিল হয়ে পড়বে! ইদানীং আমরা যত মুরগি খাই প্রায় সব মুরগী এক বা অন্য পোল্ট্রি ফার্ম থেকে আসে। এবং প্রায় সব পোল্ট্রি ফার্মে মুরগির স্বাস্থ্য বাড়ানোর জন্য এবং আরও মাংস পেতে এক ধরণের অ্যান্টিবায়োটিক দেওয়া হয়।
মুরগির ফিডের সাথে এই অ্যান্টিবায়োটিকের প্রভাবে মানুষের শরীরে অ্যান্টিবায়োটিক ওষুধের কার্যক্ষমতা দিনে দিনে হ্রাস পাচ্ছে। বিশেষজ্ঞ রা বলছেন, এই ভাবে চললে একটা সময় অধিকাংশ অ্যান্টিবায়োটিক ওষুধ শরীরে কোনও ব্যাকটেরিয়ার সংক্রমণ আটকাতে পারবে না।