করোনাভাইরাসের সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ায় দেশজুড়ে চলমান কঠোর বিধিনিষেধের মেয়াদ শেষ হচ্ছে আগামী ৫ আগস্ট। গত ২৩ জুলাই থেকে চলছে এই বিধিনিষেধ। তবে চলমান বিধিনিষেধেও করোনার সংক্রমণ কমে না আসায় স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সুপারিশের পরিপ্রেক্ষিতে আরেক দফা বিধি-নিষিধে বাড়ানো হচ্ছে বলে জানা গেছে। তবে নতুন বিধিনিষেধে কিছু ক্ষেত্রে শিথিল করা হতে পারে। আগামীকাল মঙ্গলবার আন্তমন্ত্রণালয় সভায় তা চূড়ান্ত হবে বলে জানিয়েছে সরকারি সূত্র।
মঙ্গলবার (৩ আগস্ট) কোভিড-১৯ পরিস্থিতি পর্যালোচনা সংক্রান্ত বিষয়ে আন্তঃমন্ত্রণালয় সভা ডেকেছে সরকার। মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হকের সভাপতিত্বে অনলাইনে এ সভা অনুষ্ঠিত হবে। সভায় ১২ জন মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রী, ১৬ জন সচিব,
সশস্ত্র বাহিনী বিভাগের প্রিন্সিপাল স্টাফ অফিসার, পুলিশ মহাপরিদর্শক, বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থার শীর্ষ কর্মকর্তা, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক, আইইডিসিআর পরিচালকসহ সংশ্লিষ্টরা অংশ নেবেন। সোমবার (২ আগস্ট) মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে এ সংক্রান্ত চিঠি সংশ্লিষ্টদের কাছে পাঠানো হয়েছে।
মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ এবং জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়েল কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, চলমান বিধি-নিষেধ শেষে নতুন করে যে বিধি-নিষেধ দেওয়া হবে তাতে সরকারি-বেসরকারি অফিস সীমিত পরিসরে খুলবে। আর গণপরিবহন সীমিত পরিসরে চালু করা হতে পারে। রপ্তানিমুখী শিল্প-কলকারখানা চালু রাখা হবে।
উল্লেখ্য, করোনাভাইরাসের সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে পবিত্র ঈদুল আজহার পরে ২৩ জুলাই সকাল ৬টা থেকে শুরু হয় দেশজুড়ে কঠোর লকডাউন। কঠোর এ বিধিনিষেধ চলবে ৫ আগস্ট পর্যন্ত। এসময় বন্ধ থাকছে গণপরিবহন, শিল্পকারখান, দোকানপাট। মানুষের অযাচিত চলাচল ঠেকাতে বসানো হয়েছে ভ্রাম্যমাণ আদালত। সড়কে পড়তে হচ্ছে পুলিশি তল্লাশির মুখে। কঠোর লকডাউন ও স্বাস্থ্যবিধি মানাতে মাঠে আছে বিজিবি ও সেনাবাহিনী।