পাঁচ বছর ধরে মাদকাসক্ত রহস্যময়ী চিত্রনায়িকা পরীমনি ভয়ঙ্কর মাদক এলএসডি এবং আইসও সেবন করতেন। তার বাসায় মিনি বার ছিল। তার বনানীর বাসায় প্রায়ই বসত ডিজে পার্টি। সেখানে বসত রঙ্গমঞ্চ। এই ডিজে পার্টিতে যারা যেতেন, তাদের তথ্য পেয়েছে তদন্ত সংশ্লিষ্টরা। তাদেরকেও ধরা হচ্ছে বলে ইঙ্গিত দিয়েছে র্যাব।
পরীমনি ও রাজসহ চারজনকে গ্রেফতার দেখিয়ে বৃহস্পতিবার বিকালে র্যাব সদরদপ্তরে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য দেন র্যাবের লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া উইংয়ের পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন।
তিনি বলেন, পরীমনির বাসায় মিনি বার ছিল।ডিজে পার্টি হতো।পরীমনির বাসায় মাদক সাপ্লাই (সরবরাহ) করতেন চলচ্চিত্র প্রযোজক ও অভিনেতা নজরুল ইসলাম রাজ।ডিজে পার্টিতে যারা যেতেন, তাদের বিষয়ে আমরা তথ্য পেয়েছি। যাচাই-বাছাই করে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
বুধবার রাতে র্যাব অভিযান শেষে পরীমনিকে আটক করে। আটকের পর তাকে র্যাব সদরদফতরে নিয়ে যাওয়া হয়। রাতভর সেখানেই রেখে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয় পরীমনিকে। বুধবার মধ্যরাত পর্যন্ত জিজ্ঞাসাবাদ শেষে বৃহস্পতিবার সকাল থেকে আবারও তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়।
সুনির্দিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে বুধবার বিকাল ৪টার দিকে পরীমনির বাসায় অভিযানে যায় র্যাব-১ এর সদস্যরা। এ সময় তাৎক্ষণিক ফেসবুক লাইভে এসে পরীমনি বিষয়টি সবাইকে জানান। তিনি বলেন, অজ্ঞাত বিভিন্ন পোশাকের কয়েকজন ব্যক্তি বাসার বাইরে থেকে কলিং বেল দিয়ে দরজা খুলতে বলছে। আমি ভয় পাচ্ছি।
তিনি থানা-পুলিশ, ডিবির কর্মকর্তা ও তার পরিচিতদের কাছে ফোন করে তাকে বাঁচানোর আহ্বান জানান। বাইরে থেকে বারবার র্যাব তাদের পরিচয় দিলেও ভেতর থেকে দরজা খুলছিলেন না তিনি। পরে বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যম এবং আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের বাসার বারান্দা দিয়ে দেখে বিকেল ৪টা ৩৫ মিনিটে ভেতর থেকে দরজা খুলে দেওয়া হয়।
এরপর র্যাব সদস্যরা ভেতরে ঢোকেন ও তল্লাশি শুরু করেন। পরে রাত ৮টার দিকে নতুন মাদক এলএসডি, আইস ও বিদেশি মদসহ পরীমনিকে আটক করে র্যাব সদরদফতরে নেওয়া হয়।
পরীমনির পাশেই রাজের বাসায় অভিযান চালায় র্যাব। তার বাসায় মাদকসহ পর্নোগ্রাফি ও বিকৃত যৌনাচারের বিভিন্ন আলামত এবং সরঞ্জাম উদ্ধার করা হয়েছে।