জাঁকজমকভাবে সাজানো হয়েছে বিয়েবাড়ি। বরের পরিবারে বইছে খুশির হাওয়া। বাড়িভরা আত্মীয়। রাত পোহালেই রঙিন সাজে সাজবেন বর। যাবেন কনে আনতে। তবে নিমিষেই সব আনন্দ লণ্ডভণ্ড হয়ে গেল। বরের সাজে ২৬ বছর বয়সী আল আমিনের কনের বাড়িতে যাওয়ার কথা থাকলেও সাদা কাফনে যেতে হলো কবরে। বিয়ের সাজানো প্যান্ডেলেই হলো শেষ বিদায়ের জানাজা।
বৃহস্পতিবার দুপুরে হৃদয়বিদারক ঘটনাটিই ঘটেছে বগুড়ার শিবগঞ্জ উপজেলার দেউলী ইউনিয়নের রহবল দক্ষিণপাড়া গ্রামে। আল আমিন একই গ্রামের আলম আকন্দের ছেলে। বিয়ের আগের রাতে গায়ে হলুদ দেওয়া শেষে ঘুমিয়ে পড়েন আল আমিন। রাতেই কোনো একসময় হৃদযন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধ হয়ে মারা যান তিনি। তার এমন মৃত্যুতে বিয়েবাড়িতে এখন চলছে শোক আর আহাজারি।
স্বজনরা জানান, বুধবার রাতে গায়ে হলুদ দেওয়া শেষে নিজ কক্ষে ঘুমিয়ে পড়েন আল আমিন। বৃহস্পতিবার সকালে ঘুম থেকে উঠেই পরিবারের লোকজন দেখেন আল আমিন আর বেঁচে নেই। বিয়েবাড়িতে আনন্দের বদলে শুরু হয় কান্না।
বরের বাবা আলম আকন্দ জানান, বৃহস্পতিবার দুপুরে একই উপজেলার রায়নগর ইউনিয়নের টেপাগাড়ি গ্রামের একটি মেয়ের সঙ্গে বিয়ে হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু এর আগেই ছেলেটি মারা যায়। তার মৃত্যুতে আমাদের কোনো অভিযোগ নেই।
দেউলী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুল হাই প্রধান জানান, বৃহস্পতিবার দুপুরে আল আমিনের জানাজা শেষে পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়। তার মৃত্যুতে কনের বাড়িতেও বইছে শোকের মাতম।