বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে নারীদের শরীর ও মনে বেশ কিছু পরিবর্তন আসে। বিশেষ করে ৩০ বছর বয়স হলেই নারীদের শারী’রিক ও মা’নসিক পরিব’র্তনগুলো দেখা দেয়। চেহারার পরি’বর্তন, শারী’রিক গঠনে পরি’বর্তন, মনের পরি’বর্তন- মোটকথা এই বয়সটাতে নারীদের সবকিছুতেই পরিবর্তনের হাওয়া লাগে।
এই পরিবর্তন কেউ কেউ সামলে উঠতে পারেন, কেউ কেউ আবার পরিব’র্তনের ধারায় গা ভা’সিয়ে দেন। এখন আপনি নিজেই ঠিক করবেন, ৩০ বছর বয়সে আপনি কী করতে চান। তার আগে জানতে হবে এই বয়’সটাতে কী কী পরিবর্তন ঘটে। এ ক্ষেত্রে জীবন’ধারাবিষয়ক ওয়েবসাইট আইডিভা-এর দেওয়া তালিকাটা একবার দেখে নিতে পারেন। দেখুন তো, আপনিও এমন ব’দলে যাচ্ছেন নাকি?
১. বয়স ৩০ হয়েছে মানে সময় হয়ে গেছে অ্যা’ন্টি’এজিং প্রসাধনী ব্যবহার করার। যদিও আপনি নিজেকে বুড়ো মনে করেন না। তবু আপনার ত্বকের বলিরেখাগুলো আয়নার সামনে গেলেই আপনাকে বারবার মনে করিয়ে দেয়, বয়স বা’ড়ছে! তাই বে’ছে বে’ছে ত্বকের স’ঙ্গে মি’লিয়ে অ্যা’ন্টিএজিং প্রসা’ধনী কিনে ফে’লুন। যদিও এই ধরনের প্রসাধনী ২০ বছর হয়ে গে’লেই ব্যবহার করা উচিত, যাতে ত্বকে বয়সের ছা’প না পড়ে।
২. এখন আপনি বন্ধুদের স’ঙ্গে সময় কা’টানোর চেয়ে ঘুমাতে বেশি পছ’ন্দ করেন। এর মানে আপনি এখন একা’ন্তে নিজেকে সময় দিতে চা’চ্ছেন। বয়স বা’ড়ার সঙ্গে সঙ্গে নারীদের মধ্যে এই পরি’বর্তনটা বেশি দেখা যায়। এ ক্ষেত্রে নিজের মন যা চায় সেটাই করা উচিত। দেখবেন, নিজেকে সময় দিতেও তখন ভালো লাগবে।
৩. নারীদের ক্ষেত্রে ৩০ বছর বয়স থেকেই হাঁটু ও কোমর ব্য’থার সম’স্যা শুরু হয়ে যায়। এর কারণ নারীরা নিজে’রাই। কারণ সঠিক সময়ে তরুণীরা নিজেকে ফিট রাখতে ব্যা’য়াম বা ইয়োগা করেন না। এর ফলে বয়স বা’ড়ার সঙ্গে সঙ্গে তাঁর শরীরের বিভিন্ন অংশে সম’স্যা দেখা দেয়। তাই এই বয়সে সু’স্থ থাকতে চাইলে আপনাকে নানা ধরনের ভিটামিন খেতে হবে।
৪. এখন আর আপনার অফিসে কাজ করতে ভালো লাগে না। একটানা বসে থাকতেও পারেন না। কেমন জানি অল’সতা পেয়ে বসেছে আপনাকে। তবে এই সম’স্যার সমাধান আপনি নিজেই করতে পারেন। বয়স যাই হোক না কেন, নিজেকে চা’ঙ্গা রাখতে শারী’রিক সুস্থ’তা অনেক বেশি জরুরি। তাই কাজের মাঝে উঠে হালকা ফ্রি-হ্যান্ড কিছু ব্যা’য়াম করে নিন। ৫ থেকে ১০ মিনিট হাঁটা’হাঁটি করুন। দেখবেন, শরীরের সব জ’ড়তা কে’টে যাবে।
৫. বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে মানুষের খাওয়ার রুচি কমে যায়। হুটহাট কেউ কিছু দিলে খেতে ইচ্ছা করে না। তবে পরিমিত খাওয়াটাও শরীরের জন্য প্রয়োজন। তাই সঠিক সময় সঠিক পরিমাণে খাওয়ার চে’ষ্টা করুন। পারলে একজন পু’ষ্টিবিদকে দেখিয়ে খাওয়ার নির্দিষ্ট তালিকা তৈরি করে নিতে পারেন। এখানে আপনাকে ডায়েট করতে বলা হচ্ছে না। তবে পুষ্টিবিদ যে তালিকা করে দেবেন, তা অনু’সরণ করা উচিত। কারণ আপনার শরীরে কোন ভিটামিনের ঘা’টতি আছে, কোন খাবারগুলো বেশি প্রয়োজন সেটা পুষ্টিবিদই ভালো বুঝবেন।