ঢাকাই সিনেমার চিত্রনায়িকা পরীমনিকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছে আদালত। এসময় পরীমনির আইাইনজীবীরা তার সঙ্গে কথা বলার অনুমতি চেয়ে আদালতে আবেদন করলে সেই আবেদনও নাকচ করে দেওয়া হয়। এরপর বিচারক এজলাস ত্যাগ করলে পরীমনি আইনজীবীদের উদ্দেশ্যে বলেন,
‘আপনারা আমার জামিন চাচ্ছন না কেন? আমি পাগল হয়ে যাবো আপনারা আমার জামিন চান, আপনারা আমার সঙ্গে কী কথা বলবেন? সিনিয়র আইনজীবী কই, তিনি আসলেন না কেন? এসময় আইনজীবীরা বলেন, আমরা টেকনিক্যাল কারণে চাচ্ছি না।
শনিবার (২১ আগস্ট) সকাল পৌনে ১২টার দিকে ঢাকা মহানগর হাকিম আদালতে হাজির করা হয় পরীমনিকে। এ সময় মামলার তদন্ত কর্মকর্তা সিআইডির পরিদর্শক গোলাম মোস্তফা তাকে মামলার তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত কারাগারে আটক রাখার আবেদন করেন। আবেদনে তিনি বলেন,
মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে করা মামলায় তৃতীয় দফা রিমান্ডে পরীমণি ‘গুরুত্বপূর্ণ’ তথ্য দিয়েছেন। তাই এ আসামিকে কারাগারে আটক রাখা প্রয়োজন। জামিনে মুক্তি পেলে পালাতে পারেন। শুনানি শেষে ঢাকা মহানগর হাকিম আশেক ইমাম তার জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
এর আগে বৃহস্পতিবার (১৯ আগস্ট) পরীমনির একদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আতিকুল ইসলাম। গত ১০ আগস্ট পরীমনি ও আশরাফুল ইসলাম দীপুর দুই দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট দেবব্রত বিশ্বাস। ৫ আগস্ট পরীমনি ও দীপুর চার দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছিলেন ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মামুনুর রশিদ।
উল্লেখ্য, গত ৪ আগস্ট রাতে প্রায় চার ঘণ্টার অভিযান শেষে বনানীর বাসা থেকে পরীমনি ও তার সহযোগী দীপুকে আটক করে র্যাব। এ সময় পরীমনির বাসা থেকে বিভিন্ন মাদক জব্দ করা হয়। ৫ আগস্ট র্যাব-১ বাদী হয়ে মাদকদ্রব্য আইনে পরীমণি ও তার সহযোগীর বিরুদ্ধে বনানী থানায় মামলা করে।