রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখা বেশ মুশকিল। অনেক সময় দেখা যায়, হুট করেই বেড়ে গেছে ব্লাড সুগার। ডায়াবেটিসের ক্ষেত্রে সবচেয়ে দুর্ভাগ্যজনক বিষয়টি হলো- ওষুধ, শরীরচর্চা এবং খাওয়া-দাওয়া নিয়ম মেনে করলে এটি নিয়ন্ত্রণে আসে বটে।
তবে মাঝে মধ্যেই হুট করে তা বেড়ে যেতে পারে। যদিও ডায়াবেটিস কোনোভাবেই পুরোপুরি নিরাময় করা সম্ভব নয়। এটি এমন একটি রোগ, যা সময়ের সঙ্গে সঙ্গে মানুষের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমিয়ে দেয় ও শারীরিক বিভিন্ন অসুস্থতা বাড়িয়ে তোলে।
উচ্চ মাত্রায় রক্তে শর্করার উপস্থিতি উদ্বেগের বিষয়। এটি কিডনি, হৃদরোগের পাশাপাশি অন্ধত্বের কারণ হতে পারে। এসব রোগ প্রতিরোধে রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করা প্রয়োজন। তবে অনেক সময় জানা যায় না কখন রক্তে শর্করার মাত্রা বেড়ে যায়।
বিশেষজ্ঞদের মতে, সকালে হরমোনের পরিবর্তনের কারণে রক্তে শর্করার মাত্রা বেড়ে যাওয়ার সম্ভাবনা বেশি থাকে। সুগারের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখতে হলে ডায়াবেটিস বেড়ে যাওয়ার প্রধান লক্ষণগুলি চেনা অত্যন্ত জরুরি।
এসব লক্ষণগুলো চিনতে পারলেই আগাম সতর্কতা অবলম্বন করা সম্ভব। চলুন তবে জেনে নেওয়া যাক শরীরে সুগারের মাত্রা বেড়ে গেলে ঠিক কী কী লক্ষণ প্রকাশ পায়-
মাথা ঘোরা বা অজ্ঞান হয়ে যাওয়া
১) বমি বমি ভাব, ২) ঝাপসা দৃষ্টি, ৩) মনোযোগের অসুবিধা, ৪) ঘন ঘন তৃষ্ণার্ত অনুভূতি, ৫) রক্তে শর্করার স্বাভাবিক মাত্রা কত?
সেন্টার ফর ডিজিজ কন্ট্রোল অ্যান্ড প্রিভেনশনের (সিডিসি) মতে, খাবারের আগে রক্তে শর্করা মাত্রা ৮০-১৩০ এমজি/ডিএল হওয়া উচিত। আর খাবারের ২ ঘণ্টা পরে ১৮০ এমজি/ডিএল এর কম হওয়া উচিত।
সিডিসি’র মতে, রক্তে শর্করার লক্ষণগুলো আপনার বয়স, যেকোনও স্বাস্থ্য সমস্যা এবং অন্যান্য কারণের উপর নির্ভর করে পরিবর্তিত হতে পারে। তাই এ বিষয়ে চিকিৎসকরের পরামর্শ নেওয়া প্রয়োজন।
সকালে রক্তে শর্করার বৃদ্ধি প্রতিরোধে যা করবেন-
১) সন্ধ্যায় রাতের খাবার খেয়ে নিন। ২) এর পরে রাতে হাঁটা বা ব্যায়াম করার অভ্যাস তৈরি করুন। ৩) রাতে কার্বোহাইড্রেটযুক্ত খাবার খাওয়া ত্যাগ করুন।
৪) যদি সকালে আপনার গ্লুকোজের মাত্রা বাড়তে দেখা যায়, তাহলে অবশ্যই আপনার চিকিৎসকের সঙ্গে পরামর্শ করুন। ৫) নিজেকে হাইড্রেটেড রাখতে প্রচুর তরল পান করুন। ৬) নিয়মিত সুগার লেভেল পরীক্ষা করা গুরুত্বপূর্ণ।
তথ্যসূত্র: টাইমস নাও নিউজ।