প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি থাকে পেয়ারায়। এ ফল অনেক উপকারী। হাজারো পুষ্টিতে পরিপূর্ণ পেয়ারা। বিভিন্ন রোগ নিরাময়েও সাহায্য করে উপকারী এই ফলটি। তবে উপকারী হলেও এ ফল কিছু ক্ষেত্রে অসুবিধার কারণ হয়ে দাঁড়ায়।
গবেষণায় দেখা গেছে, পেয়ারা পাতার নির্যাস গ্রহণ করলে হৃদযন্ত্রের স্বাস্থ্য, হজম এবং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা উন্নত করতে পারে। তবে এই ফলের মধ্যে কিছু যৌগ আছে, যা সবার জন্য ভালো নয়। বিশেষ করে যারা নির্দিষ্ট কিছু স্বাস্থ্য সমস্যায় ভুগছেন।
বিশেষজ্ঞদের মতে, পেয়ারা শরীরের জন্য ভালো। তবে যখন অতিরিক্ত মাত্রায় খাওয়া হয়; তখন তা ক্ষতিকারক হয়ে যায়। পেয়ারায় প্রচুর পরিমাণে ফাইবার থাকে। যা হজমে সমস্যা হতে পারে। তাই পেয়ারা বেশি পরিমাণে খেলে, পানি গ্রহণের পরিমাণও বাড়িয়ে নিন।
নির্দিষ্ট কিছু রোগীদের ক্ষেত্রে পেয়ারা হতে পারে শারীরিক ঝুঁকির কারণ। জেনে নিন কাদের পেয়ারা খাওয়া উচিত নয়-
যারা প্রায়শই সর্দি এবং কাশির সমস্যায় ভুগে থাকেন; তাদের পেয়ারা এড়ানো উচিত। পেয়ারা খুব ঠান্ডা। এটি অত্যাধিক গ্রহণের কারণে সর্দি-কাশির সমস্যা আরও বাড়তে পারে।
গর্ভবতী এবং দুগ্ধদানকারী নারীদের পেয়ারা বেশি খাওয়া উচিত নয়। এর অতিরিক্ত গ্রহণের ফলে ফাইবার বাড়ে। যা হজমে সমস্যা সৃষ্টি করে।
আপনি যদি পেটের কোনও সমস্যায় ভুগে থাকেন; তাহলে পেয়ারা এড়িয়ে চলুন। এর মধ্যে পটাসিয়াম এবং ফাইবার থাকে। তাই ডায়েটে অন্তর্ভুক্ত করার আগে একজন চিকিৎসকের সঙ্গে পরামর্শ করে নিন।
শুধু পেয়ারা নয়, এর পাতার নির্যাস গ্রহণের ফলে রক্তাল্পতা, মাথাব্যথা এবং কিডনির সমস্যা তৈরি করতে পারে।
পেয়ারা অতিরিক্ত খেলে পেটের রোগও হতে পারে। এটি শরীরের ৫টি সিস্টেমেই খারাপ প্রভাব ফেলে এবং হজম শক্তি দুর্বল হতে শুরু করে।
অতিরিক্ত পরিমাণে পেয়ারা পেট ফাঁপা হতে পারে। আসলে এই ফলের মধ্যে পর্যাপ্ত পরিমাণে চিনি থাকে, যা ফ্রুক্টোজ হিসেবে পরিচিত। ফ্রুকটোজ হজম ও শোষণ করতে সমস্যা হয়। এর ফলে পেটে ফোলাভাব এবং গ্যাস হতে পারে।
অনেকে পাকা পেয়ারা বেশি সুস্বাদু মনে করেন; তবে পাকা পেয়ারা খাওয়ার ফলে দাঁত ব্যথা বা দাঁতের বিভিন্ন রোগ হতে পারে।
পেয়ারা পাতার নির্যাস গ্রহণের ফলে একজিমা হতে পারে। এই পাতা ত্বকের জ্বালাভাব সৃষ্টি করে। যদি আপনার একজিমা গুরুতর অবস্থায় থাকেন; তবে সাবধানতার সঙ্গে পেয়ারা পাতার নির্যাস ব্যবহার করুন।
তথ্যসূত্র: ইন্ডিয়া ডট কম।