আফগানিস্তান থেকে ভারতে পালিয়ে আসা একজন নারী দাবি করেছেন, তালেবানরা মৃ”ত নারীদের ধ”র্ষ”ণ করেছে। ভারতীয় গণমাধ্যম নিউজ এইটিন বলছে, ওই নারীর নাম মুসকান। মুসকান আফগানিস্তানের পুলিশ বাহিনীতে কাজ করতেন বলেও জানিয়েছে গণমাধ্যমটি। তিনি তালেবানের ভয়ে ভারতে পালিয়ে এসেছেন এবং এখন নয়াদিল্লিতে বাস করছেন। খবর ওপিইন্ডিয়ার।
মৃ”তদেহের সঙ্গে শারীরিক সম্পর্কে নেকরোফিলিয়া। মুসকান দাবি করেন, তালেবানরা হয় নারীদের তুলে নিয়ে যেতো বা গুলি করতো। মুসকান দাবি করেন, গতকালই একজন নারীকে তুলে নিয়ে গেছে তালেবানরা। তার দাবি অনুযায়ী, তালেবানরা প্রতি পরিবার থেকে নারী চান।
মুসকান দাবি করেন, তালেবান গ্রুপের কারণে তার জীবন হুমকির মুখে পড়ে। এরপর তিনি চাকরি ছেড়ে দেন এবং দেশ ছেড়ে পালিয়ে আসেন। তিনি বলেন, যখন আমরা সেখানে ছিলাম, তখন আমরা অনেক হুমকি পেতাম। যদি আপনি কাজে যান, তাহলে আপনি হুমকিতে আছেন। আপনার পরিবার হুমকির মুখে। একবার হুমকি দেয়ার পর তারা হুমকি দেয়া বন্ধ করে দেয়।
আফগান এই নারী আরও দাবি করেন, তারা মৃ”ত নারীদেরও ধ”র্ষ”ণ করেছে। তারা এটা নিয়ে চিন্তিত নয় ওই ব্যক্তি মৃ”ত নাকি জীবিত, আপনি এটা ভাবতে পারেন? মুসকান বলেন, যদি কোনও নারী সরকারি অফিসে কাজ করেন, তাহলে তার কপালে খারাপ পরিণতি আছে।
এর আগে ২০১৮ সালে ভারতে আশ্রয় নেয়া আরেক নারী দাবি করেছিলেন, তার বাবাকে গুলি করে হত্যা করেছে তালেবান। তার অপরাধ ছিল, তিনি পুলিশে কাজ করতেন। তার চাচাকে গুলি করে তালেবান। কারণ তিনি আফগান সেনাবাহিনীর হয়ে ডাক্তার হিসেবে কর্মরত ছিলেন।
এদিকে আফগানিস্তানের একমাত্র মেয়েদের বোর্ডিং স্কুলের সহ-প্রতিষ্ঠাতা ওই স্কুলের সব কাগজপত্র পুড়িয়ে দিয়েছেন বলে খবর বের হয়। তালেবানরা দেশের দখল নেয়ার পর নারীদের ওপর নতুন করে নিপীড়নের আশঙ্কায় তাদের ও তাদের পরিবারকে সুরক্ষা দিতে তিনি এমন কাজ করেছেন বলে জানান।
স্কুল অব লিডারশিপ আফগানিস্তানের (সোলা) অধ্যক্ষ সাবানা বাসিজ-রাসিখ বলেছেন, তাদের তথ্য মুছে ফেলা আমার উদ্দেশ্য ছিল না। বরং শিক্ষার্থী এবং তাদের পরিবারকে তালেবানের হাত থেকে রক্ষা করতে তিনি এমনটা করেছেন।