চাঁদপুরে স্বামীর দায়ের করা যৌতুক মামলায় স্ত্রীকে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত। বৃহস্পতিবার (২৬ আগস্ট) চাঁদপুরের জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম মো. কফিল উদ্দিন এই যৌতুক মামলার প্রধান আসামি মনি আক্তার মিতুকে জেলহাজতে পাঠানোর আদেশ দেন। একই সঙ্গে মামলার অপর আসামি তার বাবা দুলাল মিজি এবং ভাই মেহেদী হাসানের জামিন মঞ্জুর করেন আদালত।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা গেছে, দুই বছর আগে মতলব উত্তরের ইসলামাবাদ ইউনিয়নের সুজাতপুর গ্রামের দুলাল মিজির মেয়ে মনি আক্তার মিতুকে আড়াই লাখ টাকার দেনমোহরে বিয়ে করেন পাশে ফতেহপুর ইউনিয়নের গাজীপুর গ্রামের সিরাজ মিয়ার ছেলে নূর মোহাম্মদ। বিয়ের কয়েক মাস পরেই মিতু যৌতুকের জন্য স্বামী নূর মোহাম্মদ ও তার বাবাকে চাপ প্রয়োগ করতে শুরু করেন। এর মধ্যে যৌতুক হিসেবে তিন লাখ টাকা দাবি করে নানা ধরনের হয়রানি করতে থাকেন।
বিষয়টি নিয়ে শুরুতে স্থানীয়ভাবে সালিসের মাধ্যমে বিরোধ মেটানোর চেষ্টা করা হয়। কিন্তু স্ত্রী মনি আক্তার মিতু যৌতুকের দাবিতে তার অবস্থানে অনড় থাকলে বিষয়টি নিয়ে মামলা করেন স্বামী নূর মোহাম্মদ। মামলায় স্ত্রী মনি আক্তার মিতু, তার বাবা দুলাল মিজি এবং ভাই মেহেদী হাসানকে আসামি করা হয়।
বৃহস্পতিবার (২৬ আগস্ট) এই মামলায় চাঁদপুরে জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম মো. কফিল উদ্দিনের আদালতে এই তিনজন হাজির হয়ে আইনজীবীর মাধ্যমে জামিন প্রার্থনা করেন। এ সময় বিচারক দু’পক্ষের কথা শুনে নূর মোহাম্মদের স্ত্রী মনি আক্তার মিতুকে জেলহাজতে পাঠানের নির্দেশ দেন। একই সঙ্গে তার বাবা ও ভাইকে জামিন প্রদান করেন।
এদিকে, পুরুষের দায়ের করা যৌতুক মামলায় নারী কারাগারে। এমন আলোচনায় সরগরম ছিল চাঁদপুরের আদালতপাড়া। গত কয়েক মাস আগেও মনি আক্তার মিতু তার স্বামী নূর মোহাম্মদকে তালাক দিয়ে এলাকায় আলোচনায় আসেন।