বাবা-মা পেলেন খাগড়াছড়ি সরকারি কলেজের টয়লেট থেকে উদ্ধার হওয়া সেই নবজাতক। স্মৃতি বিকাশ চাকমা নামে এক দম্পতির জিম্মায় দেয়া হয়েছে সেই নবজাতক কন্যাকে। মঙ্গলবার (৭ সেপ্টেম্বর) দুপুরে খাগড়াছড়ির নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক মুহাম্মদ আবু তাহেরের আদালত এ জিম্মার আদেশ দেন।
আবেদনকারীর পক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট আবছার হোসেন রনি বলেন, নবজাতককে জিম্মায় পেতে ৫ জন আবেদন করেন। স্মৃতি বিকাশ চাকমা একজন সরকারি চাকরিজীবী। চিকিৎসকের মতামত ও পারিপার্শ্বিক অবস্থা বিবেচনায় আদালত নবজাতককে এই পরিবারের জিম্মায় প্রদানের আদেশ দিয়েছেন।
উল্লেখ্য, সোমবার (৬ সেপ্টেম্বর) খাগড়াছড়ি সরকারি কলেজের ছাত্রীদের কমন রুমের টয়লেট থেকে নবজাতকের কান্নার শব্দ শুনে ওই নবজাতকের খোঁজ পান এক কর্মচারী। পরে কলেজের টয়লেট থেকে শিশুটিকে উদ্ধার করে মা ও শিশু কল্যাণ কেন্দ্রে নিয়ে আসে কলেজ কর্তৃপক্ষ। সোমবার (৬ সেপ্টেম্বর) সকাল সাড়ে ১১টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।
খাগড়াছড়ি সরকারি কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ রফিক উদ্দীন বলেন, সোমবার ২০২১ শিক্ষাবর্ষের এইচএসসি পরীক্ষার্থীদের অ্যাসাইনমেন্ট জমা নেয়ার নির্ধারিত দিনে অনেক শিক্ষার্থী এসেছিল। এসময় ছাত্রীদের কমন রুমের টয়লেটে নবজাতকের কান্না শুনে এক কর্মচারী আমাদের খবর দেয়। খবর পেয়ে আমরা নবজাতককে উদ্ধার করে হাসপাতালে প্রেরণ করি।
খাগড়াছড়ি শহর সমাজসেবা অফিসার মো. নাজমুল হাসান জানান, খাগড়াছড়ি সরকারি কলেজের টয়লেট থেকে এক নবজাতক কন্যাশিশু পাওয়া গিয়েছে, এমন সংবাদ পাওয়ার পরপরই আমরা জেলা হাসপাতালে এসেছি। শিশুটি আপাতত সুস্থ আছে। তবে এখন পর্যন্ত শিশুটির পরিচয় নিশ্চিত হওয়া যায়নি। ধারণা করা হচ্ছে, অ্যাসাইনমেন্ট জমা দিতে আসা কোনো শিক্ষার্থীই এই সদ্যজাতের মা।