অনেকেরই থানকুনি পাতার স্বাস্থ্য উপকারিতা সম্পর্কে কম-বেশি জানা আছে! এই প্রাকৃতিক উপাদানটি আয়ুর্বেদ শাস্ত্রে বেশ জনপ্রিয়। এই পাতা পেটের বিভিন্ন রোগ সারাতে পারে। সেইসঙ্গে মস্তিষ্কের বিকাশেও দুর্দান্ত কার্যকর।
জেনে নিন থানকুনি পাতা খেলে সারবে যেসব রোগ-
মস্তিষ্কের বিকাশ ঘটায় থানকুনি পাতা। এতে থাকে অ্যান্টি অক্সিডেন্ট ও প্রচুর ফলিক অ্যাসিড। থানকুনি পাতা সেবনে অ্যালঝাইমার বা ডিমেনশিয়ার মতো রোগে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি কমে।
অনেকেই অবসাদ এবং উদ্বেগে ভুগে থাকেন। এতে থাকা অ্যান্টি অক্সিডেন্ট এবং অ্যান্টি ইনফ্লেমেটরি উপাদান, স্ট্রেস লেভেল কমায় এবং নার্ভাস সিস্টেমকে শান্ত রাখে।
পেটের সমস্যা কমাতে পারে থানকুনি পাতা। যেকোনও পেটের সমস্যা সারাতে প্রাকৃতিক এই ভেষজ উপাদানটি ব্যবহার করতে পারেন। থানকুনি পাতা হজম ক্ষমতার উন্নতি ঘটায়।
আলসারের সমস্যায় যারা ভুগছেন; থানকুনি পাতা তাদের স্বস্তি দেবে। এছাড়াও পেট খারাপ বা ডায়রিয়ার চিকিৎসাতেও এই পাতাটি কার্যকর।
অনেকের শরীরেই স্ট্রেচ মার্ক দেখা দেয়। জানেন কি, স্ট্রেচ মার্ক দূর করে থানকুনি পাতা। বিভিন্ন গবেষণায় দেখা গেছে, থানকুনি পাতায় থাকা টারপিনয়েড শরীরে কোলাজেন উৎপাদন বাড়ায়।
থানকুনি পাতা নতুন করে স্ট্রেচ মার্ক তৈরিতে বাঁধা দেয়। সেইসঙ্গে বিদ্যমান স্ট্রেচ মার্কও দূর করে। এছাড়াও বিভিন্ন ক্ষত কিংবা পুড়ে যাওয়া নিরাময়ে থানকুনি পাতা কার্যকরী।
অনিদ্রার সমস্যা দূর করতে সহায়তা করে থানকুনি পাতা। এতে একাধিক অ্যান্টি অক্সিডেন্ট এবং অ্যান্টি ইনফ্লেমেটরি উপাদান থাকে। যা স্ট্রেস লেভেল কমায় এবং স্নায়ুতন্ত্রকে নিয়ন্ত্রণ করে। ফলে সহজেই অনিদ্রার সমস্যা দূর হয়।
শরীর থেকে ক্ষতিকারক টক্সিন বের করে এই পাতা। বিভিন্ন গবেষণায় দেখা গেছে, থানকুনি পাতা লিভার এবং কিডনিতে জমে থাকা টক্সিনে প্রভাব ফেলে এবং শরীর থেকে টক্সিন বের করে দেয়।
এছাড়াও গর্ভবতী মহিলা, স্তন্যদানকারী মা, দুধের শিশু, লিভারের সমস্যায় আক্রান্ত ব্যক্তি এবং অস্ত্রোপচার করা হবে কিংবা সদ্য অস্ত্রোপচার হয়েছে- এমন ব্যক্তিরা থানকুনি পাতা গ্রহণ করবেন না।
সেইসঙ্গে ডায়াবেটিস, উচ্চ কোলেস্টেরল এবং ঘুম বা উদ্বেগের জন্য যারা ওষুধ সেবন করছেন; এমন ব্যক্তিরা অবশ্যই থানকুনি পাতা গ্রহণের আগে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।
তথ্যসূত্র: বোল্ডস্কাই।